স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ও সৃজনশীলতা লালনের লক্ষ্যে স্কুলে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে স্বেচ্ছাসেবী গবেষণা সংগঠন ‘চিন্তার চাষ’। এরই ধারাবাহিকতায় ‘চিন্তার চাষ’ স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আগামী ১১ অক্টোবর ২০২৫ ‘১০ম চিন্তার চাষ ক্ষুদে গবেষক সম্মেলন, ২০২৫’-এর আয়োজন করতে যাচ্ছে। সম্মেলনে সারা দেশের স্কুলের ৭ম হতে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গবেষণা পত্র/ধারণাপত্র উপস্থাপন করবে।
বণিকবার্তা ও দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এ আয়োজনের যথাক্রমে বাংলা ও ইংরেজি গণমাধ্যম সহযোগী।
অংশগ্রহণকারীঃ
৭ম হতে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী (সাইন্স, আর্টস এবং কমার্স অর্থাৎ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে)
অংশগ্রহণের ধরণঃ
ক. একক
খ. দলীয় (ধারণাপত্রের জন্য ৩ জনের অধিক নয়, তবে গবেষণা পত্রের জন্য সর্বোচ্চ ৪ জন সদস্য নেয়া যাবে)
আয়োজন/ইভেন্টঃ
ক. গবেষণা পত্র উপস্থাপন
খ. ধারণাপত্র উপস্থাপন
গবেষণা পত্র/ধারণাপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখঃ
৩১ আগস্ট ২০২৫
গবেষণা পত্র/ধারণাপত্র জমা দেয়ার লিংক:
https://forms.gle/WcffsjirVsC1igBz8
প্রাথমিক বাছাইঃ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রেজিস্ট্রেশনঃ
০৮-১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (শুধু প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণরাই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে)
রেজিস্ট্রেশন ফিঃ
জন প্রতি টাকা ৫০০/-
দেশের খ্যাতিমান গবেষক ও বিজ্ঞানীগণ গবেষণা পত্র, ধারণাপত্র ও পোস্টারসমূহ মূল্যায়ন করবেন।
গবেষণাপত্র লেখার নিয়মঃ
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণা করার পর গবেষণা পত্র লিখতে হয়। একটি গবেষণা পত্রে নিম্ন বর্ণিত বিষয়সমূহ থাকবে-
ক. শিরোনাম: যে গবেষণাটি করা হয়েছে তার একটি শিরোনাম থাকবে। শিরোনাম এক বাক্যের হবে। এটি এমন হবে যাতে পুরো গবেষণা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
খ. সারাংশ: সম্পূর্ণ গবেষণা কাজটি কোন পদ্ধতিতে করা হয়েছে তা খুবই সংক্ষেপে লিখে প্রাপ্ত ফলাফল লিখতে হবে।
গ. ভূমিকা: গবেষণাটি কোনো তত্ত্ব বা নীতির উপর ভিত্তি করে করা হয়ে থাকলে সেটি উল্লেখ করতে হবে। শিরোনামে কোন বৈজ্ঞানিক বা বিষয়ভিত্তিক শব্দ ব্যবহার করলে তার অর্থ লিখতে হবে। এছাড়া কেন এই গবেষণাটি করা হয়েছে তা ভূমিকায় উল্লেখ করতে হবে।
ঘ. গবেষণা সম্পর্কে অন্যদের কাজ: পৃথিবীর অন্যান্য বিজ্ঞানী বা গবেষক এই গবেষণার বিষয়ে কোন কাজ করে থাকলে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঙ. কাজের পদ্ধতি: গবেষণা কাজটি কিভাবে করা হয়েছে তার বিবরণ এই অংশে থাকবে। গবেষণায় কোনো উপকরণ বা যন্ত্র ব্যবহার করলে তা উল্লেখ করতে হবে।
চ. ফলাফল বিশ্লেষণ: এই অংশে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল এবং এর গুরুত্ব লিখতে হবে।
ছ. উপসংহার: এক নজরে ফলাফল উল্লেখপূর্বক ভবিষ্যৎ গবেষণার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা যেতে পারে।
ধারণাপত্র লেখার নিয়মঃ
চলমান জীবনে আমরা প্রতিদিন যে সমস্যার মুখোমুখি হই বা মানুষের মৌলিক প্রয়োজন (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা) নিয়ে যে সমস্যা আমরা অনুভব করি বা বৈশ্বিক যে পরিস্থিতি আমাদের উদ্বিগ্ন করে বা অন্য যেকোনো সমস্যা সমাধানে কোনো প্রস্তাব বা উপায় ধারণাপত্রে উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া যেকোনো বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বা প্রোজেক্ট উদ্ভাবনের পরিকল্পনা বা রূপরেখা নিয়ে ধারণাপত্র লেখা যাবে।
নিম্নবর্নিত বিন্যাসে ধারণা পত্র লিখতে হয়।
ক. শিরোনাম: ধারণাপত্রের একটি শিরোনাম থাকবে। শিরোনাম এক বাক্যের হবে যাতে যে সমস্যার সমাধান প্রস্তাব করা হচ্ছে তার সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
খ. বিষয়বস্তুর বর্ণনা: সমস্যা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং মানুষের উপর এর প্রভাব কী অর্থাৎ কেন এই সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব করা হয়েছে তা এ অংশে থাকবে।
গ. সমস্যা সমাধানে প্রস্তাবনা: সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা উল্লেখ করতে হবে।
ঘ. অনুমিত ফলাফল: এই অংশে যে ফলাফল প্রত্যাশা করা হচ্ছে সেটি এবং তার গুরুত্ব লিখতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
কম্পিউটারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে টাইপ করে পেপার জমা দিতে হবে। A4 সাইজের সাদা পেপার সিলেক্ট করতে হবে, অভ্র অথবা বিজয় ইউনিকোড দিয়ে টাইপ করতে হবে এবং Kalpurush/কালপুরুষ ফন্ট (বাংলা বা ইংরেজি উভয়ক্ষেত্রেই) ব্যবহার করতে হবে।
হেডিং ১৮, সাব হেডিং ১৬/১৪ এবং বডিতে ১১/১২ সাইজ ব্যবহার করতে হবে।
তথ্যের জন্য যোগাযোগঃ
০১৭১২১৪৭৫১৯, ০১৭১৭৪০০৮৭১, ০১৭৫৮৯৭৫০৫৪, ০১৬৩৬২৭৫৮৪৭