তাড়ুয়া প্রযোজনা- ৪
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (𝔸𝕝𝕝 ℚ𝕦𝕚𝕖𝕥 𝕠𝕟 𝕥𝕙𝕖 𝕎𝕖𝕤𝕥𝕖𝕣𝕟 𝔽𝕣𝕠𝕟𝕥)
উপন্যাসঃ এরিখ মারিয়া রেমার্ক
নাটকঃ রুনা কাঞ্চন
নির্দেশনাঃ বাকার বকুল
৫ম মঞ্চায়নঃ ১৩ আগস্ট(বুধবার) সন্ধ্যা ৭ টায়
৬ষ্ঠ মঞ্চায়নঃ ১৪ আগস্ট(বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৭ টায়
৭ম ও ৮ম মঞ্চায়নঃ ১৫ আগস্ট(শুক্রবার) বিকাল ৪ টায় ও
সন্ধ্যা ৭ টায়
মঞ্চঃ জাতীয় নাট্যশালা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
টিকেট মূল্যঃ ১০০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ৩০০ টাকা।
টিকিটঃ
https://tarua.org/event
যোগাযোগঃ ০১৯৮৯৬৬৯৮০৯, ০১৬৪৮৩৯১৮২৬
ওয়েবসাইটঃ www.tarua.org
গল্প সংক্ষেপে-
দেশের জন্য শিক্ষার্থীদের জীবন উৎসর্গ করতে উদ্বুদ্ধ করেন শিক্ষক কান্টারেক। দেশ যখন যুদ্ধাবস্থায় তখন যেকোনো উচ্চাকাঙ্খাকে ছুড়ে ফেলে দিতে বলেন তিনি। জন্মভূমির জন্য জীবন দেওয়ান চেয়ে মহত্তম কিছু নাই, এই চেতনায় উজ্জীবিত হয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পল বাউমার ভালোবাসে প্রজাপতি, হতে চায় লেখক। কেমোরিখ ফরেস্ট অফিসার। বেন, মূলার এবং আলবার্টেরও রয়েছে নিজেকে নিয়ে নানাবিধ ভবিষ্যত স্বপ্ন। প্রতিকূল এই যুদ্ধপরিস্থিতিতে সব স্বপ্ন বিসর্জন দেওয়া পাঁচ বন্ধুর শরীরে ও চিন্তায় ঘোরে যুদ্ধের রোমান্টিসিজম। তখনও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ শুরু হয়নি, সৈনিকের খাতায় নাম লেখাতে না লেখাতেই অস্ত্র হাতে নিয়ে দেখতে উৎসুক তারা। ফিল্মে দেখা হিরোদের ন্যায় ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করতে চায় মূলার। গুলিবিদ্ধ ইউনিফর্ম পেয়ে বেনের কপালে দুঃশ্চিন্তার রেখা। প্রশিক্ষণ শেষে কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান নিয়ে যুদ্ধের ফ্রন্টে উপস্থিত হয় সকলে। কল্পনায় ভাবা যুদ্ধ বাস্তবে মেলে না। নৃশংস আর হিংস্রতায় ব্যক্তি এখানে মৃত্যুর জন্য তৈরি হওয়া শুধুই এক টুকরো মাংসপিণ্ড। চশমা হারিয়ে যুদ্ধের প্রথম দিনেই বেনের মৃত্যু বিভৎস নির্মমতায় দৃশ্যমান হয়। চিৎকার করে আলবার্ট 'অন্তত ওর জন্য একটা কফিন যোগাড় করো, ওকে যেনো ইঁদুরে না খায়'। যুদ্ধ করতে করতে হঠাৎ পল বাউমার একটি গর্তে পড়ে গিয়ে মুখোমুখি হয় বিপক্ষের একজন সৈনিকের। জীবন রক্ষায় এলোপাতাড়ি ছুরির কোপে সৈনিকটিকে হত্যা করে। মুহূর্তের জন্য বিবেক তাড়িত ও বিকারগ্রন্ত হয়ে পড়ে পল। অবসরে খাবার খেতে খেতে সৈনিকদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে যুদ্ধটা আসলে কেনো বাঁধে, কারা বাঁধিয়ে রাখে।। প্রতিপক্ষ দেশের কেউতো তাদের ক্ষতি করেনি তাহলে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হওয়া এই যুদ্ধ আসলে কাদের স্বার্থে।
প্রসঙ্গ তাড়ুয়া
তাড়ুয়া একটি উন্মুক্ত নাট্যচর্চা কেন্দ্র। ভবিষ্যত বাংলাদেশে প্রফেশনাল থিয়েটার চর্চার পথ তৈরিতে সমৃদ্ধ নাট্যশিল্পীদের নিয়ে মানোত্তীর্ণ নাট্য নির্মাণ তাড়ুয়ার অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণে দক্ষ অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকার ও ডিজাইনার তৈরিতে তাড়ুয়া দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
তাড়ুয়া বিশ্বাস করে প্রাণ-প্রকৃতির সমন্বয়ে বৈচিত্রময় সুন্দর বিশ্ব নির্মাণে থিয়েটারের গুরুত্ব ও ভূমিকা অপরিসীম। একটি ভালো সংলাপ যেমন মানুষের মন এবং চিন্তার জগতকে প্রভাবিত করতে পারে তেমনি একটি ভালো নাটক কল্যানের পথে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম। তাড়ুয়া তাই দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যে কোনো শিল্প আঙ্গিক কিংবা বিষয়বস্তু গ্রহণে উদার এবং সমান আগ্রহী।
কোনো নির্দিষ্ট মতবাদ ভিত্তিক রাজনীতিতে আস্থাশীল না হয়েও নাট্য নির্মাণের ক্ষেত্রে ও বিষয়বস্তু নির্ধারণে তাড়ুয়া ভীষণভাবে রাজনৈতিক। মানবতা বিরোধী সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় সকল অসঙ্গতির বিপরীতে তার স্পষ্ট অবস্থান।