TravelGraph - এর সাথে নিঝুম দ্বীপে ক্যাম্পিং ( ২৪ ডিসেম্বর )
🏞️নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে।নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান,বাউল্লার চর, আবার কেউ কেউ একে ইছামতীর চরও বলত। এ চরে প্রচুর ইছা মাছ (নোয়াখালী অঞ্চলে চিংড়ীর স্থানীয় নাম) পাওয়া যেত বলে একে ইছামতির চরও বলা হতো।
ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়েন,তখন এই নামেই এর নামকরণ হয়েছিলো। নাম বদলে পরবর্তীতে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করা হয়। মূলত বাল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং মৌলভির চর - এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ১৪,০৫০ একরের দ্বীপটি ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জন বসতি গড়ে উঠে। ১৯৭০ এর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপটিতে কোন প্রাণের অস্তিত্ব ছিলনা।
এ দ্বীপের মাটি চিকচিকে বালুকাময়, তাই জেলেরা নিজ থেকে নামকরণ করে বালুর চর। এই দ্বীপটিতে মাঝে মাঝে বালুর ঢিবি বা টিলার মতো ছিল বিধায় স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেও ডাকত। বর্তমানে নিঝুমদ্বীপ নাম হলেও স্থানীয় লোকেরা এখনো এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেই সম্বোধন করে।
বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়ে। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবি করেন।
▪️ ভ্রমণের স্থান সমূহঃ
-কমলার চর,
-চৌধুরী খাল,
-কবিরাজের চর,
-নামার বাজার সী-বিচ,
-ম্যানগ্রোভ বন,
-নিঝুম দ্বীপ,
-হাতিয়া
🔹 ভ্রমণ তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর , ২০২৫ (বিকেল ০৫.০০ টা )
🔹 ফেরার তারিখ : ২৮ ডিসেম্বর , ২০২৫(সকাল ০৫.০০ টা)
ইভেন্ট ফীঃ ( যেহেতু আমরা লঞ্চে যাওয়ার আসা করবো তাই আমরা ৩ ধরণের প্যাকেজ রেখেছি )
▪️ ৬,২৫০ টাকা জনপ্রতি ( ডেকে যাওয়া আসা )
▪️ ৭,৬৫০ টাকা জনপ্রতি ( সিঙ্গেল কেবিনে যাওয়া আসা ১ জন )
▪️ ৮,৬৫০ টাকা জনপ্রতি ( ডাবল কেবিনে যাওয়া আসা ২ জন )
🔺 আমরা তাবুতে থাকবো, কেও চাইলে হোটেলে থাকতে পারবেন, সেক্ষেত্রে এক্সট্রা কিছু টাকা যোগ হতে পারে।
▪️ যারা যাবেন কিনা সিউর না, তারা Interested এ ক্লিক করুন। আর যারা সিউর যাবেন Going এ ক্লিক করুন এবং আমাদের ইভেন্টটি শেয়ার করুন।
▪️ কনফার্ম করার শেষ সময়: ১৮ ডিসেম্বর। সিট ফুল হওয়া পর্যন্ত সময় থাকবে। সিট ফুল হয়ে গেলে ইভেন্টটি ক্লোজ করা হবে।
▪️ মৌখিক কনফার্মেশন গ্রহন্যযোগ্য নয় । কনফার্ম করার জন্য উক্ত তারিখের মধ্যে ৩,০০০+৬০= ৩,০৬০ টাকা পাঠাতে (বিকাশ খরচসহ) হবে (বুকিং মানি অফেরতযোগ্য)। অথবা সরাসরি আমাদের অফিসে এসে ৩,০০০ টাকা জমা দিয়ে বুকিং কনফার্ম করতে পারবেন।
★ ★ ★ কনফার্মেশন অনুযায়ী সিট বন্টন করা হবে। ★ ★ ★
▪️ টাকা পাঠানোর উপায়ঃ
বিকাশ : ০১৬৭২২৯৬৪৬৯ ( পার্সোনাল )
নগদ : ০১৬৭২২৯৬৪৬৯ ( পার্সোনাল )
রকেট : ০১৬৭২২৯৬৪৬৯৬ ( পার্সোনাল )
* টাকা পাঠানোর পর একটা ফোন দিয়ে অবশ্যই কনফার্ম করবেন *
🔹বিস্তারিত ট্যুর প্ল্যানঃ
ডে - ০০
--------------------------
বিকাল ৫ টায় আমরা সদরঘাট হতে লঞ্চে রওনা হবো হাতিয়া দ্বীপের উদ্দ্যেশ্যে।
ডে - ০১
---------
সকাল আনুমানিক ছয়টায় আমরা হাতিয়ার তমরুদ্দি লঞ্চ ঘাটে নামবো, তারপর নাস্তা সেরে বাইক অথবা লেগুনায় চড়ে দুই ঘন্টা সময় নিয়ে আমরা পৌছাবো হাতিয়ার সর্ব দক্ষিণে মোক্তারিয়া ঘাটে সেখানে দশ মিনিট নৌকাযোগে আমরা নিঝুম দ্বীপ বোট ঘাটে পৌছাবো, তারপর বাইকে চড়ে আমরা চলে যাবো আমাদের গন্তব্য স্থল নিঝুম দ্বীপ নামা বাজারে,সেখানে রেস্ট করে দুপুরে লাঞ্চ সেরে বিকেলের পূর্বে বীচের আশেপাশে সঠিক জায়গা দেখে আমাদের ক্যাম্প সাইট রেডি করে ফেলবো যেখানে আমরা রাতে বারবিকিউ আর থাকার ব্যাবস্থা করে ফেলবো।
ডে - ০২
---------
সকাল সকাল উঠে নাস্তা সেরে আমরা বের হবো ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ভ্রমণে যেখানে জীব বৈচিত্র্য দেখার পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো দ্বীপের তিনশো ষাট ডিগ্রী ভিউ দেখবো। সারাদিন আমরা বিভিন্ন চর, পাশাপাশি নিঝুম দ্বীপ বিস্তারিত ঘুরে দেখবো, বিকেলটায় সী বীচে ফুটবল খেলার সুযোগও থাকবে। রাতে আমরা আমাদের ক্যাম্প সাইটেই আবার আড্ডা আর সমুদ্র বিলাসে মেতে উঠবো।
ডে - ০৩
----------
খুব ভোর বেলায় উঠে নাস্তা সেরে আমরা নিঝুম দ্বীপ বোট ঘাট চলে যাবো সেখান থেকে বাইকে করে আমরা চলে যাবো তমরদ্দি ঘাট আর সকাল দশটায় লঞ্চে উঠে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে রওনা হবো। যেহেতু ডে লাইট থাকবে তাই পথিমধ্যে বিশাল মেঘনা নদী তার বুকে থাকা চর, খন্ড খন্ড ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, মনপুরা, ভোলা এসব অঞ্চল সমূহ দেখার সুযোগ থাকবে।
ডে - ০৪
--------------------------
রাত চারটার আশেপাশে আমরা সদরঘাট পৌছাবো, সেখানেই আমাদের ভ্রমণ শেষ হবে।
🔹যা যা থাকছে এর মধ্যেঃ
- সকল প্রকার যাতায়াত খরচ
- পুরো ট্রিপের ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ,ডিনার, স্ন্যাকস ( যাওয়া - আসার দিন রাতের খাবার যার যার নিজের থাকবে )
- তাবু খরচ
🔹যা যা থাকছেনাঃ
- কোন ব্যক্তিগত খরচ
- কোন ঔষধ
- ঢাকা থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়া-আসার পথে কোনো খাবার।
🔹যা যা সাথে নেওয়া উচিতঃ
- শুকনা খাবার (যদি নিতে চান)
- ভ্রমণের সময় যত কম জিনিস নেয়া যায়, যত কম কাপড় নেয়া যায় ততই আরামদায়ক হয় ভ্রমণ
- মশা থেকে বাঁচার জন্য অডোমাস
- গামছা নিবেন যেন রোদে মাথায় ঢেকে হাঁটা যায়
- সানগ্লাস, হ্যাট, সানস ক্রিম (যদি অতিরিক্ত ত্বক সচেতন হন)
- ব্রাশ
- প্রয়োজনীয় ঔষধ
- টর্চ লাইট (বাধ্যতামূলক)
- ক্যমেরা এবং এর এক্সট্রা ব্যাটারি
- চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক
🔹কনফার্ম করার আগে যে ব্যাপার গুলো অবশ্যই বিবেচনা করতে হবেঃ
১) প্রথমেই একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা, শুকনো খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিক বোতল/জার, কলার খোসা, ইত্যাদি ফেলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। প্রতিটি জায়গা আমাদের নিজেদের, তাই তার সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
২) ভ্রমণকালীন সময় আমরা সবাই একে অপরকে সর্বাত্মক সহায়তা করব।
৩) স্থানীয়দের সাথে কোন রকম বিরূপ আচরণ করা যাবে না।
৪) এখানে কোন প্রকার অশ্লীল আচরনের/কাজের কোন রকম সুযোগ নেই। তাই এমন আচরণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হল।
৫) যেহেতু গ্রুপ ট্যুর তাই সবার সাথে মিলেমিশে চলার মানসিকতা থাকতে কবে।
৬) ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করে নিবো।
==========================================
☎️ বিস্তারিত জানতে/ বুকিং এর জন্য কল করুন
▪️ 01672296469 (শুভ)
▪️ 01871-710438 (রনি)
▪️ 01798340177(সিফাত)
📍অফিস ঠিকানা: ৫৬ (২য় তলা), লেক সার্কাস, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫