জাপানে তৈরি দ্রুতগামী ক্যাটামেরীন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এম বি বে ক্রজার জাহাজে ঢাকা থেকে দিনের আলোয় নদী পথে কক্সবাজার হয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিশেষ সুযোগ।
নদী যে অঞ্চলে উৎপত্তি লাভ করে তাকে নদীর উৎস এবং যে স্থানে সমুদ্রে বা হ্রদে মিলিত হয় সেই স্থানকে মোহনা বলে। নদীর চলার পথে কখনও কখনও ছোট ছোট অন্যান্য নদী বা জলধারা এসে মিলিত হয়ে প্রবাহ দান করে- এগুলো উপনদী নামে পরিচিত। একটি নদী এবং এর উপনদীসমূহ একত্রে একটি নদীপ্রণালী বা নদীব্যবস্থা (river system) গঠন করে। ভূ-পৃষ্ঠ কখনও পুরোপুরি সমতল নয়। ফলে বর্ষণসৃষ্ট জলধারা ঢালুতম পথে ভূ-পৃষ্ঠের একাধিক ঢাল পরিচ্ছেদনের ফলে সৃষ্ট অবতল-নিচু অংশে প্রবাহিত হওয়ার প্রবণতা প্রদর্শন করে।
নদীপথে যাতায়াত সুবিধা এবং নদী উপত্যকাসমূহের পলিমাটি উৎকৃষ্ট কৃষিভূমি হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতাসমূহ নদী উপত্যকায় গড়ে উঠেছে। নাব্য নদ-নদীসমূহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নগর গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের প্রায় সকল প্রধান শহর, নগর ও বাণিজ্যকেন্দ্রসমূহ বিভিন্ন নদীর তীরে গড়ে উঠেছে; যেমন- বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ঢাকা মহানগরী, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দর, কর্ণফুলি নদীর তীরে চট্টগ্রাম, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ময়মনসিংহ শহর গড়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত প্রবাহ, গতিবেগ এবং নতিমাত্রাবিশিষ্ট নদী থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। কাপ্তাই নামক স্থানে কর্ণফুলি নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
বাংলাদেশের নদীমালা এর গর্ব। এখানে প্রায় ৭০০টি নদী-উপনদী সমন্বয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ নদীব্যবস্থা গড়ে ওঠেছে। বাংলাদেশের নদ-নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪,১৪০ কিমি। ছোট ছোট পাহাড়ি ছড়া, অাঁকাবাঁকা মৌসুমি খাড়ি, কর্দমপূর্ণ খালবিল, যথার্থ দৃষ্টিনন্দন নদ-নদী ও এদের উপনদী এবং শাখানদী সমন্বয়ে বাংলাদেশের বিশাল নদীব্যবস্থা গড়ে ওঠেছে। কিছু কিছু স্থানে যেমন, পটুয়াখালী, বরিশাল এবং সুন্দরবন অঞ্চলে নদীনালা এতো বেশি যে সে অঞ্চলে প্রকৃতই নদীজালিকার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের নদীনালাগুলো স্বাভাবিকভাবেই দেশের সর্বত্র সমভাবে বণ্টিত নয়। দেশের উত্তরভাগের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ক্রমান্বয়ে দক্ষিণভাগের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে নদ-নদীর সংখ্যা এবং আকার দুইই বৃদ্ধি পেতে থাকে। নদীব্যবস্থার দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের নদীমালাকে চারটি প্রধান নদীব্যবস্থা বা নদী প্রণালীতে বিভক্ত করা যেতে পারে: ১) ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদী প্রণালী ২) গঙ্গা-পদ্মা নদী প্রণালী ৩) সুরমা-মেঘনা নদী প্রণালী এবং ৪) চট্টগ্রাম অঞ্চলের নদ-নদীসমূহ। বাংলাদেশের নদীমালার মধ্যে দৈর্ঘ্যের দিক থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ বিশ্বের ২২তম (২,৮৫০ কিমি) এবং গঙ্গা নদী ৩০তম (২,৫১০ কিমি) স্থানের অধিকারী।
বাংলাদেশের সবগুলো নদীর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্ত্তত করা বেশ কঠিন। নদীর নামকরণের ক্ষেত্রে এদেশে কোনো ধরনের নীতিমালা অনুসরণ করা হয় না। এখানে একই নদীকে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকার প্রবণতা রয়েছে। এমনকি কোনো একটি নদীর মাত্র পাঁচ/ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের অংশকেও এর উজানের নামের থেকে ভিন্ন নামে ডাকা হয়। নদীটির নতুন নামকরণ কোনো স্থান থেকে শুরু হলো তা নির্ধারণ করা প্রায়ই সম্ভব হয় না। আবার একই নামে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন নদীর অস্তিত্ব রয়েছে। বিশেষত দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের নদীগুলো এতবেশি শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত যে ভিন্ন ভিন্ন শাখা-প্রশাখাগুলোকে আলাদা নামে চিহ্নিত করা সব ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। এসমস্ত অসুবিধা সত্ত্বেও দেশের নদীগুলোর এলাকাভিত্তিক একটি তালিকা নিম্নে সংযোজিত হলো:
রংপুর দুধকুমার, রাইডাক, ধরলা, তিস্তা, স্বাতি, বুড়িখোড়া-চিকি, খারভাজা, ঘাগট, যমুনেশ্বরী, আখির, খারখরিয়া, বাসমাই, দেওনাই, চিকি, নীলকুমার, ভরোলা, গদাধর, সনকোশ, নোয়াডিহিং, ডিসাঙ্গ, ডিখু, কালাঙ্গ, কাপিলি, তিতাস-গিরি, ব্রহ্মপুত্র: (২৬টি)।
দিনাজপুর পাথরাজ, তালমা, পুনর্ভবা, চেপা, টাঙ্গন, ডাহুক, ঘোড়ামারা, যমুনা, কোরাম, আত্রাই, কুলিকা, বড়াল, গর্ভেশ্বরী, যমুনেশ্বরী, জলঢাকা, তোরসা, কল্যাণী, রাইদক: (১৮টি)।
রাজশাহী ফকিরনী-বারানাই, শিব-বারানাই, মহানন্দা, পাগলা, মুসা খান, গঙ্গা, বারানাই, হোজা, গোদারি, গুমানি: (১০টি)।
পাবনা গুর, বগুড়া-ইছামতী, বড়াল, হুরাসাগর, দুর্গাদহ, সুখদহ, বগুড়া (ইউসিয়াম), তালান: (৮টি)।
বগুড়া করতোয়া, কথাকলি, বাঙ্গালি, তুলসী গঙ্গা, ছোটো যমুনা, নসার, বাদল: (৭টি)।
ঢাকা বংশী, তুরাগ, টঙ্গীখাল, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা, গাজীখাল, বানার, বালু, লক্ষ্যা, লৌহজং, ফুলদি, ভুবনেশ্বরী, কীর্তিনাশা বা শ্রীপুর (শীতলক্ষ্যা), ইছামতী, মালিক বাদের খাল, গাজাহাটার খাল, ইলশামারী: (১৮টি)।
ময়মনসিংহ ঝিনাই, আইমন, সুতিয়া, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ঘরোটা নদী, সিমাহালি, নরসুন্দর, বোথাই, নিতারী, সোমেশ্বরী, কংশ, গুনাই, কাচামাঠিয়া, পানকুরা, সাইদুল, মোগরা, রাংরা, খারমোরী, মহাদেব, যদুকাটা, ধানু, বোয়ালাই, শিরখালি, চেল্লাখালি, মতিচিক, চালহি, বংশাই, মানস, পুতিয়া, জিনজিরাম, সুবনফিরি, বলেশ্বর, ভোগাই কংসা, কউলাই, ধনু, সিলাই, খারমেনি: (৩৭টি)।
সিলেট সুরমা, পিয়াইন, সারি গোয়াইন, বাগরা গাঙ, নওয়া গাঙ, শেওলা, ধামালিয়া, মনাই বড়দাল, জুরি, মনু, ধলাই, লাংলা (কারাঙ্গি), খোয়াই, সুতাং, কুশিয়ারা, মাধবপুর, মহাসিং, খাজাঞ্চি, ভট্টখাল, কালনি, জামালপুর, বরাবা, লভা, হরি, বোগাপানি, ইটাখোলা, ধরিয়ানা, ধোয়াই, যদুকাটা, ধলা-ধলাই গাঙ, গোপলা-লাংলা, মোগাই-চলতি, রক্তি, পৈন্দা, ভেরা, মোহানা, ধনু-বৌলাই: (৩৭টি)।
কুমিল্লা তিতাস, গোমতী, ধনাগোদা, ডাকাতিয়া, দাপলা গাঙ, হাওরা, কাঠালিয়া, সোনাই, তাটনল, বুড়ী, কুলিয়াঝুরি, বাতাকান্দি, মরিচা, আরশি, গোপী, মারজোরা, ঘুঙ্গট, খেরুনদী, বৈজানী, পাগলী, শিরাই, চান্দিনা খাল, কাকড়ি, মালদা, অ্যান্ডারসন খাল, মতলব, উদনন্দি বা উদমধি, কাগনি, হরিমঙ্গল, কুরুলিয়া, জায়দিন্দ, সোনাইমুড়ি, হন্দাচেরা, জাঙ্গালিয়া, দুরদুরিয়া, বুড়ীগঙ্গা বা বিজয়গঙ্গা, কালাডুমুরিয়া, বুড়িগাঙ, বিজয়পুর খাল, চৌদ্দগ্রাম খাল, নলিয়া, বিজলী, ঘুঙ্গর: (৪৪টি)।
নোয়াখালী মধুখালি খাল, রহমতখালি খাল, মুহুরী, ছোটো ফেনী, সিলোনিয়া, ফেনী, ভুলুয়া, হাতিয়া, আতিয়াবারি খাল, কালির খাল, পাটকাটা খাল, কথাকলি খাল, বাপারাশি খাল, গোয়ালখালি খাল, আত্রা খাল, হুরা খাল, গাহোযাতলি খাল, হালদা, ইছামতী: (১৯টি)।
চট্টগ্রাম হালদা, কর্ণফুলি, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, বাকখালি, সাতাল খাল, ইছামতী, মুহুরী, কাবলং, রাখিয়াং, সত্তা, শিল্পা, তুইবাং, ককা, শ্রীমা, বোয়ালখালি, মগদাই, ডং খাল, নারায়ণগিরি, চিরিঙ্গা, ইছাখালি, কুরসাই, সিঙ্গুর গঙ্গা, কাপ্তাই, রিগারী খিংর, চাঁদখালি, কুমিরাখালি, চেঙ্গি, মাইনী: (৩০টি)।
কুষ্টিয়া মাথাভাঙা, গড়াই, জলাঙ্গি, মাগরখালি: (৪টি)।
যশোর আপার ভৈরব, লোয়ার ভৈরব, চিত্রা, বেগবতী, নবগঙ্গা, চন্দনা, কপোতাক্ষ, বারাসিয়া, খোলপটুয়া এলেংখালি, পানগুবি, কবা, কালীগঙ্গা, কাঠিপাতা, দড়াটানার খাল, মরিছোপ, চাঁদখোনি, পাংগানি, নাইনগত্র সমুদ্র, বড় পাঙ্গা, কুমার, বড় গাংদিয়াদহ, আমলা মদরপুর, ডাকোয়া, মরা গড়াই, বারাসিয়া, পালং, আত্রাই। (২৮টি)।
ফরিদপুর মধুমতী, কুমার, আড়িয়াল খাঁ, আতাই নদী, মাদারিপুর বিল রুট: (৫টি)।
খুলনা ভদ্রা, আঠারোবাঁকী, আলাইপুর খাল, খোলপটুয়া, শিবসা, রূপসা, বলেশ্বর, গাসিয়াখালি, পশুর, আড়, পাঙ্গানিয়া, ওড়াটমা, ইছামতী, নমুদ সমুদ্র, সোনাগাঙ্গ, ভাঙরা, কুঙ্গা, মালঞ্চ, সাতক্ষীরা, সুতাখালী, রাইমঙ্গল, মারজাত, হরিণভাঙা, মহাভাঙা, গলাঙ্গী, হরিপুর, সোনাই, বুধহাটার গাঙ, ঢাকি, গালঘেমিয়া, উজীরপুর কাটাখাল, গুচিয়াখালি, বদুরগাছা, ডেলুটি, মানস, কয়ারা, আড়-শিবসা, কালিন্দী, মজুদখালি খাল, আকরার খাল, মংলা, সোলা, পায়রা, আন্দ্রনমুখো, মুহুরী, মোদলা, হাড়িয়াভাঙা, গানগুবি, কচা, পাকাশিয়া, মৈয়ার গাং, কাবিপাতা, ঝাঁক, শিয়ালীর খাল, নারায়ণখালী, কদমতলি, বাংরা, শীলা, কলাগাছিয়া, বাঁশতলী, সালখি, শাকবাড়িয়া, আলকি, মানিকদিয়া, চন্দেশ্বর, পানকুশী, বলেশ্বর, বলমার্জার বা মাঞ্জাল, কাগীবাগ, রামপাল: (৭১টি)।
বরিশাল বিষখালি, স্বরূপকাঠী বা সন্ধ্যা, বাবুগঞ্জ, হেমদা, লোহালিয়া, শাহবাজপুর, নয়াভাঙা, রাজগঞ্জ, গণেশপুর, দুবালদিয়া, তোরকি বা তুর্কি, কীর্তনখোলা, ধরমগঞ্জ, ঝিলিনহা, মনকুঠা, মুলতানি, কারখোমা, আলগি, ধুলিয়া, গঙ্গালিয়া, বুড়িশ্বর, কালীগঙ্গা, হরিণঘাটা, পাতুয়া, তেঁতুলিয়া, ধলিয়া, নীলাশী, নবগঙ্গা, ভোলা, পাকাশিয়া, চন্দনা বা পাংশা, জাবনাসবাদ, বলেশ্বর, শশ্মান ঘাট, মৈয়ার গাং, নয়া ভাঙনী, গৌরনদী, কালাবদর, মীরগামারী, কচা বা কোচা, লতা, ইলিশ বা ইলশা, কবাখালি, মধুমতী, আন্ধার মানিক, রাবণাবাদ বা পটুয়া, বুড়া গৌরাঙ্গ, বাকেরগঞ্জ, আমতলা, ধানসিঁড়ি, সুগন্ধা, ঝালকাঠি, চালনা, এলেংখালি, নলবিটি, খরবোরাবাদ, গলাচিপা: (৫৭টি)।
সুন্দরবন অঞ্চল বলেশ্বর, সুমতি, ছাপড়াখালি, বড় শেওলা, হরিণ চীনা, শরনখোলা, আমবাড়ে, চান্দেশ্বর, কাপা, কালিন্দি, সঠকা, জাভো, মরা পশুর, ডাংমারি, বিলে, ছুতোরখালি, চালো বগি, হরমহল, বেড়ি-আদা, বাকির খাল, আড়-শিবসা, হড্ডা, মহিষে, ছাছোন হোগলা, মজ্জত, শাকবাড়ে-সিঙ্গা, গোলখালি, কুকুমারি, কলাগাছে, ডোমরখালি, হংসরাগ, কাগা, নীলকমল, খেজুরদানা, সেজিখালি, বাইনতলা, বাঙ্গাবালী, দোবেকি, ফিরিঙ্গি, মানদো, কেওড়াসুতী, বন্দো, ধকোলা, লতাবেড়ি, ভেটুইপাড়া, বালুইঝাঁকি, কালিকাবাড়ী, বেকারদোন, আন্ধার মানিক, ঝালে, পাটকোষ্টা, বাসে, গোলভকসা, ধানিবুনে, হরিখালি, মনসার বেড়, পুষ্পকাটি, গঙ্গাসাগর, কালী লাই, বগী চেঁচানে, কুঁড়েখালি, ভূয়ের দনে, কাঠেশ্বর, সোনারুপাখালি, দুধমুখ, লাঠিকারা, তেরকাটি, ধানঘরা, আড়বাসে, দক্ষিণচরা, সাপখালি, কদমতলি, বুড়ের ডাবুর, লক্ষ্মী পশুর, মানকি, আশাশুনি, তালতক্তা, ধ্বজিখালি, মন্ডপতলা, নেতোখালি, ভায়েলা, বাগানবাড়ি, ঝাড়াবাগনা, বগাউড়া, বক্সখালি, চাইলতাবাড়ি, সিঙ্গড়তলি, মাথাভাঙা, নারায়ণতলি, কইখালি, মথুরা, খাসিটানা, আগুনজ্বালা, ফুলঝুরী, মালাবগা, খামুরদানা, উবদে, গুবদে, সোনাইপাঁঠী, ধোনাইর গাঙ, কানাইকাঠি, মরিচঝাঁপি, নেতাই তালপাঁঠী, ধনপতি, রাগাখালি, মুক্ত বাঙাল, আরিজাখালি, দুলোর টেক, যিনগিলি, বিবির মাদে, টেকাখালি, দেউর যাঁদে, চামটা কামটা, কুঞ্চে মাঠে, ব্যয়লা কয়লা, মাদার বাড়ে, বয়ার নালা, হানকে, ধনচের নদী, মূল্যে মেঘনা, বাইলো, বেতমুড়ি, বুড়িগোল্লি, চুনকুড়ি, মায়াদি, ফুলবাড়ি, তালতলি, আংরা কনা, গাড়ার নদী, বাদামতলি, ভুতের গাঙ, বৈকুণ্ঠ হানা, করপুরো, ছায়া হলড়ি, আড়ভাঙা, তালকপাঁঠী, খেজুরে কুড়ূলে, ছোটো শেওলা, কাঁচিকাটা, দাইর গাঙ, বৈকিরী, জালঘাটা, ইলিশমারি, ঝলকি, সাতনলা, মকুরনি, হেলার বেড়, কালিন্দে, শাকভাতে, গোন্দা, পালা, তেরবেঁকী, তালবাড়ে, হেড় মাতলা, ভুড়ভুড়ে, ছদনখালি, ফটকের দনে, ভরকুন্ডে, কেঁদাখালি, নওবেঁকী, কলসের বালি, পানির খাল, কুলতলি, বড়বাড়ে, মুকুলে, মধুখালি, পাশকাটি, গোছবা, ঘাট হারানো, গাবান্দারা, লোকের ছিপি, বাহার নদীপার, বড় মাতলা, পায়রা ঠুনী, কালবেয়ারা, ঢুকুনী, পারশে মারী: (১৭৭টি)।
&&&&&&
নদী পথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি দূরত্ব কমবেশি ৫০০ কিলোমিটার। নদী পথে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ একটি চমৎকার স্থান, যেখানে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা এবং অন্যান্য নদীকে কেন্দ্র করে অনেক সুন্দর ভ্রমণ গন্তব্য রয়েছে। আপনি ঢাকা থেকে সরাসরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জাহাজে করে টেকনাফ পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারেন। শুধুমাত্র এ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্যই আমাদের একটি আয়োজন।
সংক্ষিপ্ত প্ল্যানঃ ২৮/১১/২০২৫ইং শুক্রবার সকাল ৭ টায় ঢাকা পূর্বাচল ৩০০ ফুট (শিমুলিয়া ঘাট) থেকে বে-ক্রজার-১ এ সকাল ৭টায় যাত্রা শুরু, রাতে হাতিয়া দ্বীপে কোন হোটেল/রেস্ট হাউজ এ থাকা। পরের দিন ভোর সকালে আবার যাত্রা শুরু, রাতের মধ্যে কক্সবাজার পৌছা (আনুমানিক রাত ৭-৯টার মধ্যে), কক্সবাজার হোটেল এ থাকা, ৩য় দিন সকাল ৬ টায় সেন্টমাটিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা। আনুমানিক দুপুর ১২টার মধ্যে সেন্ট মাটিন পৌছানো এবং সেন্টমার্টিন ভ্রমণ শেষে ঐ দিনই বিকাল ৫ টায় কক্স বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা। রাতের বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা। ট্যুর ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত,১ ডিসেম্বর সকালে ঢাকায় পৌছানো।
** (রেগুলার প্যাকেজ থেকে ২৫% ডিসকাউন্ট)
যাত্রা তারিখ ও সময়ঃ
_______________________
২৮ নভেম্বর, শুক্রবার সকাল ৭.০০ মিনিট।
যাত্রা শেষ: কক্সবাজার ঘাট এ ৩০ নভেম্বর, রবি বার, রাত আনুমানিক রাত ১০টা থেকে ১১ টা)।
* ২৯ ডিসেম্বর যারা কক্সবাজার নেমে যাবেন তারা শনি বার রাত ৮/৯ টায় কক্সবাজার ঘাট এ পৌছাবেন।
জাহাজঃ এম ভি বে ক্রুজার ১ (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্যাটামেরান জাহাজ)
জাহাজ ছাড়ার স্থানঃ
____________________
এম ভি বে ক্রুজার ১ ছাড়বে, পূর্বাচল ৩০০ ফিট শিমুলিয়া ঘাট থেকে।
** প্যাকেজ প্রাইস এম ভি বে ক্রুজার জাহাজ
------------------------------------------------
ঢাকা-হাতিয়া-কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার: জনপ্রতি ১৫০০০/-
ঢাকা-হাতিয়া-কক্সবাজার: জনপ্রতি ১২০০০/-
**খাবার মেন্যুঃ
________________
মোট ৪ বেলা খাবার প্যাকেট জাত, অনান্য সময় লোকাল রেস্টুরেন্টে খাবার।
১ম দিনঃ
সকাল: ভুনা খিচুরী, ডিম, সালাদ, পানি, চা (প্যাকেট)
দুপুর: মোরগ পোলাও, ফিস ফ্রাই অথবা ডিম কোর্মা, সালাদ, পানি। (প্যাকেট)
বিকাল: মুড়ি মাখানো, পানি, চা।
রাত: সাদা ভাত, ভর্তা, মাছ অথবা মুরগী, সালাদ, পানি। (হাতিয়া তে স্থানীয় হোটেল/রেস্টুরেন্টে)
২য় দিনঃ
সকাল: পরোটা, ডিম ওমলেট, ভাজি/ডাল, পানি, চা।
দুপুর: ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, ফিস ফ্রাই, সালাদ, পানি।
বিকাল: বিস্কিট/কেক, কলা, পানি, চা।
রাত: সাদা ভাত, ভর্তা, মাছ অথবা মুরগী, সালাদ, পানি। (কক্সবাজার এ তে স্থানীয় হোটেল/রেস্টুরেন্টে)
৩য় দিনঃ
সেন্টমার্টিন এ যাওয়ার সময় সকাল ও দুপুরের খাবার থাকবে। মেন্যু প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ডিপেন্ডেবল।
বিশেষ দ্রস্টব্যঃ
১। এটি শুধু মাত্র এ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য বিশেষ একটি ট্যুর। এখানে জোয়ার ভাটা, ঘন কুয়াশা, যান্ত্রিক সমস্যা, পরিবেশ পরিস্থিতি বা অনান্য কারনে যাতায়াত এর সময়, খাবার মেন্যু ইত্যাদি ভিন্ন হতে পারে।
২। জাহাজ এ কোন কেবিন এর ব্যাবস্থা নেই। এসি জাহাজ এ এসি সিট থাকবে।
৩। হাতিয়া দ্বীপ এ জাহাজ থেকে নামা ও উঠার সময়ে জোয়ার ভাটার কারনে জাহাজ ঘাটে নাও ভীড়তে পারে, সে ক্ষেত্রে স্থানীয় নৌকায় করে জাহাজ থেকে নামতে ও উঠতে হতে পারে।
৪। জাহাজ চলাকালীন সময়ে প্যাকেট খাবার থাকবে, যা পূর্বেই জাহাজ এ উঠানো হবে। স্থানীয় হোটেল গুলো খুব বেশী ভালো হবে এমন আশা করা যাবে না। তবে আমাদের চেস্টা থাকবে বেস্ট পসিবল ম্যানেজ করার।
৫। জাহাজটি সমুদ্র উপকূল গামী কোস্টাল (সি ক্লাস) জাহাজ, তাই নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ এর অবকাশ নেই। আমাদের জাহাজ পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট আছে। অত্যাধুনিক নেভিগেশন যন্ত্রপাতি (রাডার, জি পি এস, ইকো সাউন্ডার) রয়েছে৷ জরুরী পরিস্থিতিতে বন্দর, কোস্ট গার্ড, নৌ বাহিনী এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ এর জন্য রয়েছে ভি এইচ এফ / ওয়্যারলেস ।
৬। সকলের জরুরী মেডিসিন, শীতের কাপড়, হালকা নাস্তা সাথে রাখতে পারেন।
৭। ১ম বারের মত আমরা এই আয়োজন করতেছি শুধু মাত্র এ্যাডভেঞ্চার প্রেমী দের জন্য, তাই আমাদের সীমাবদ্ধতা গুলো ধৈর্যের সাথে মানিয়ে নেয়ার অনুরোধ রইলো। আমি আবারো বলছি এটি কোন লাক্সারী ট্রিপ নয়।
___________________________
সময়: ৩ রাত ৩ দিন
____________________________
ভ্রমণ খরচঃ
ঢাকা - হাতিয়া - কক্সবাজার - জনপ্রতি ১২০০০/-
ঢাকা-হাতিয়া-কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার - ১৫০০০/-
____________________________
★★ মৌখিক কনফার্মেশন গ্রহণযোগ্য নয়, বুকিং মানি অফেরতযোগ্য
বুকিং মানি - ৮০০০/- (অফেরতযোগ্য)। ডিউ টাকা জাহাজ এ আরোহন করে ক্যাশ পেমেন্ট করতে হবে।
বিকাশ করলে খরচ সহ ০১৭১১৯৭৮০৭২ (পার্সোনাল)
বুকিং মানি দিয়েই আপনার সিট কনর্ফাম করতে হবে। আগে বুকিং করলে সিট আগে হবে এ ভিত্তিতে সিট বন্টন করা হবে।
_________________
❑ যা যা দেখবো
____________________________
❑ এই টাকায় যা যা থাকছে
• ঢাকা-হাতিয়া-কক্স-সেন্টমার্টিন-কক্স এসি জাহাজ
• সকল বেলার খাবার
• অভ্যন্তরীণ ট্রান্সপোর্ট
• রাতে থাকার খরচ
• প্রতিদিন ৩টি মেইন খাবার
• লোকাল গাইড
• হোষ্ট
• পার্মিশন
• লাইফ জ্যাকেট
• খাওয়ার পানি
• ৩ বেলা চা
____________________________
❑ এই টাকায় যা যা থাকছেনা
• যেকোন প্রকার ব্যাক্তিগত খরচ
• উপরে উল্লেখিত নয় এমন কিছু
• কক্স থেকে ঢাকা ফিরতি পথের খরচ
___________________________
❑ ভ্রমণ পরিকল্পনাঃ
১ম দিনঃ সকাল ৭ টায় সংশ্লিষ্ট ঘাট থেকে যাত্রা শুরু। দিনের আলোয় বুড়িগঙ্গা /শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, মেঘনা নদী ভ্রমন শেষ এ রাতে হাতিয়া দ্বীপ এ কোন হোটেল/রেস্ট হাউজ এ শেয়ারিং ব্যাসিস থাকা।
২য় দিনঃ ভোর সকালে নাস্তা শেষ এ কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে সাগর পথে যাত্রা শুরু, পথি মধ্যে সাগর পথের সৌন্দর্য অবলোকন। রাতের মধ্যে কক্সবাজার নুনিয়াছড়া ঘাট এ পৌছা। রাতে হোটেল কক্সবাজার এ হোটেল এ শেয়ারিং এ থাকা।
৩য় দিনঃ সকাল ৬ টায় কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। দুপুর ১২ টায় সেন্টমার্টিন এ পৌছানো। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘুরে। বিকেল ৪ টায় কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু এবং রাত এ কক্সবাজার পৌছে ট্রিপ শেষ ।
____________________________
❑ ❑ অবশ্যই যা যা সাথে নিতে হবে👇
* শুকনা খাবার (বাদাম, কিসমিস, খেজুর, বিস্কিট, পানির বোতল)
* ভ্রমণে যত কম জিনিস নেয়া যায়, যত কম কাপড় নেয়া যায় তত
আরামদায়ক হয় ভ্রমণ।
* মশা থেকে বাঁচার জন্য অডোমস অবশ্যই
* গামছা
* হ্যাট
* সানগ্লাস,
* ব্রাশ
* প্রয়োজনীয় ঔষধ
* টর্চ লাইট /হেড ল্যাম্প (বাধ্যতামূলক)
* ক্যমেরা
* চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক (কোন প্রকার বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে না)
* চাদর***
* নিজ নিজ পানির বোতল ***
* টয়লেট ট্যিসু (মিনিমাম ০১টি)
* ব্যক্তিগত ঔষধ
__________________________
❑ ❑ ** গুরুত্বপূর্ণ **
# সব থেকে জরূরী, ট্রিপ ডিটেইলস টা মনোযোগ দিয়ে পড়া।
# প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা এক্সিডেন্টাল কোনো ইস্যুতে খরচ বেড়ে গেলে সেই বর্ধিত খরচ আমরা সবাই মিলেই বহন করবো। কারন প্রাকৃতিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না এবং এর উপর আমাদের কারো কোনো হাত নেই।
# প্ল্যানের মধ্যে নতুন কোনো প্ল্যানের আবদার না করার বিশেষ অনুরোধ।
# অপ্রয়োজনীয় সাহস দেখানো যাবেন না।
# আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবশ্যই ঢাকা থেকে নিয়ে রওনা দিবেন।
# প্রয়োজনীয় কাজে যথাসম্ভব হেল্প করা মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।
#**# নিশ্চিত যারা যাবো তাদের একটি গ্রুপ চ্যাটবক্স করে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
🌟 খাবার মেনু পরিবর্তন হতে পারে।
🌟 এটা একটা এ্যাডভেন্চার ট্যুর তাই যারা শারিরীক ভাবে ফিট এবং কষ্ট করতে রাজি শুধুমাত্র তাদের জন্য এই ট্যুর।
🌟 সকল সদস্যদের সাথে কমপক্ষে ৩ কপি NID এর কপি রাখতে হবে।
🌟 আশাকরি আপনি ভ্রমণের বিস্তারিত পড়েই আমাদের সাথে যাচ্ছেন।
___________________________
❑ ❑যেকোনো প্রয়োজনেঃ
সজীব ০১৭১১৯৭৮০৭২
ট্রাভেলার্স হুইসেল
You may also like the following events from Syfur Rahman Sajib: