টাংগুয়ার হাওর বিগত বছরগুলোতে বেশ সাড়া জাগানো পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে যা মূলত তার বিশালতা আর বাহারী সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত এবং ড্রিম ডেস্টিনেশন!আর সেই সাথে নৌকার ছাদে বসে প্রকৃতি উপভোগ করা আর হাওরের তাজা মাছ, এলাকার হাঁস এই ট্রিপের বাড়তি মাত্রা যোগ করে।একপাশে মেঘালয়ের সুউচ্চ পাহাড়, একদিকে টলটলে পানির হাওর; দুয়ের সম্মিলন এক অপার্থিব সৌন্দর্যের জানান দেয়।
আর যারা নিশ্চিতভাবে যাচ্ছেন, তারা ইভেন্টটি নিজেদের টাইমলাইনে শেয়ার করে দিবেন, যেন আপনার পরিচিতরাও এই ট্রিপ সম্পর্কে জানতে পারে।
যাত্রার তারিখঃ ৭ অগাস্ট রাত ১০.০০
ফেরার তারিখঃ ১০ অগাস্ট (সকাল ৬ টার মধ্যে ঢাকায় থাকব ইনশাআল্লাহ)
বাস ছাড়ার স্থানঃ সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল
ভ্রমণের খরচঃ ৫৫০০ টাকা প্রতি জন
**কনফার্ম করার ডেডলাইনঃ ২৪ জুলাই (আসন খালি থাকা সাপেক্ষে)
কনফার্ম করা জন্যে ৩০৬০ টাকা পাঠাতে হবে (বিকাশ খরচ সহ)। কোনভাবেই মৌখিক কনফার্ম গ্রহণযোগ্য নয়। যিনি আগে কনফার্ম করবেন, তিনিই প্রাধান্য পাবেন এবং সেই সিরিয়ালেই বাসের সিট দেয়া হবে।
বুকিং মানি অফেরতযোগ্য।
**ভ্রমণের পরিকল্পনাঃ
০০ ডে: রাতের বাসে করে সুনামগঞ্জ যাত্রা।
০১ ডে: সকালে সুনামগঞ্জ নেমে নাশতা করে নিবো। নৌকা সুনামগঞ্জ হাছন রাজার বাড়ির ঘাট থেকেই ছাড়া হবে।সকালের নাশতা সেরে চলে যাবো শিমুল বাগান, তারপর যাবো যাদুকাটা নদী। নদীর ঠান্ডা স্রোতে গা ভাসিয়ে উঠে দুপুরের খাবার খেয়ে নিবো। তারপর যাবো বারিক্কা টিলা, যেখানে ভারত আর বাংলাদেশের সীমানা মিশেছে।
০২ ডে: অমরা দেখবো নিলাদ্রি লেক, ওয়াচ টাওয়ার, টাঙ্গুয়ার হাওড়, তারপর নৌকা ছেড়ে দিবো বিকেলের দিকে। চলে আসবো সুনামগঞ্জ শহরে।তারপর রাতের খাবার খেয়ে রাতের বাসে করে ঢাকায় ফেরা।
০৩ ডে: ভোরে ইনশাহ আল্লাহ সবাই ঢাকায় ফিরে আসবো। এসে অফিস ধরতে পারবেন।
**এই ট্রিপের কিছু বিষয়, ট্রিপ কনফার্ম করার আগে যেগুলো অবশ্যই জানতে হবেঃ
এই ট্রিপে খাবার রান্না হবে নৌকায়, নৌকার ছাদে বসেই সবাই একসাথে মিলে মিশে খাবো।
রান্না বান্না এবং পরিবেশন এর জন্য লোক থাকবে, তবে আমরা যারা এই কাজে পারদর্শী এবং আগ্রহী,তারা যে কোন সহায়তা করবো।
নৌকায় থাকা ব্যাপারটা পুরোটাই ফিলের উপর নির্ভর করে। এমনিতে নৌকায় থাকা অবশ্যই কষ্টের, সেটি বিবেচনায় রাখবেন।
**যা যা ঘুরবোঃ
যাদুকাটা নদী
বারিক্কা টিলা
শিমুল বাগান
ট্যাকেরঘাট
শহীদ সিরাজ লেক/কোয়ারী লাইমস্টোন লেক
টাঙ্গুয়া হাওর
লাকমাছড়া (এখানে বাইকেও যাওয়া যায়, হেটেও যাওয়া যায়। বাইকে গেলে এই খরচ নিজের)
**যা সরবরাহ করা হবেঃ
যাওয়া-আসার নন এসি বাসের খরচ
আভ্যন্তরীণ সকল যাতায়ত খরচ
নৌকার খরচ
বাবুর্চির খরচ এবং রান্নার আনুসাংগিক জিনিসপত্র
প্রতিদিন ৩ বেলা মূল খাবার এবং প্রয়োজনীয় স্ন্যাক্স
লাইফ জ্যাকেট।
**যা থাকছে নাঃ
কোন ব্যক্তিগত খরচ
কোন ঔষধ
লাকমাছরায় যাওয়ার বাইক এর খরচ
**যা সাথে নেওয়া উচিতঃ
তোয়ালে, গোসলের জন্যে কাপড়, অন্যান্য কাপড়
সানগ্লাস, হ্যাট, সানস্ক্রিন
প্রয়োজনীয় ঔষধ
ক্যমেরা এবং এর এক্সট্রা ব্যাটারি
চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক (যেহেতু দুইদিন নৌকায় থাকবো, এবং কোন রকম বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে না)
**শর্ত সমুহঃ
১- প্রথমেই একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে।
২- ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
৩- ভ্রমণ সুন্দর মত পরিচালনা করার জন্য সবাই আমাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করতে হবে।
৪- আমরা শালিনতার মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
৫- প্রতিটি যায়গা ই আমাদের নিজেদের, তাই তার সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। যেন পর্যটন এর কোন ক্ষতি না হয়, সেটা সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে।
৬- অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যেটা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
৭- স্থানীয়দের সাথে কোন রকম বিরূপ আচরণ করা যাবে না। নতুন কারো সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ট্রিপ হোস্টের সহায়তা নিতে হবে।
৯- দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না তাই যে কোন প্রকার দুর্ঘটনা সকলে মিলে মোকাবেলা করতে হবে । প্রকৃতিগত বা রাষ্ট্রীয় কারণে কোন আর্থিক ক্ষতি বা ভর্তুকি ঘটলে সবাইকে সেখানে অংশগ্রহণ করতে হবে।
ভ্রমণের জন্য যে কেও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।ছেলে/ মেয়ে সকলেই যেতে পারবে।
***যোগাযোগ 01873977638 এটি আমাদের অফিসিয়াল নাম্বার, এই নাম্বারে যোগাযোগ করে জেনে নিবেন ট্রিপের বিস্তারিত, এবং কনফার্ম করতেও এই নাম্বারটিতে যোগাযোগ করুন।
বুকিং নাম্বারঃ 01917001253 রাজিয়া সুলতানা
01675248653 শাহেদ মাহমুদ