সুন্দরবনে ঘুরতে যাওয়া বলতেই শিপে চড়ে ভেসে বেড়ানো বুঝি। সুন্দরবনের একটা ক্যানেলের পাশে গড়ে ওঠা বনবাস রিসোর্টে দারুণ দুটো দিন কাটাতে যাচ্ছি। আপনিও পরিবার / বন্ধুদের নিয়ে সঙ্গী হতে পারেন। গ্রুপে গেলে খরচটাও অনেক কমে যাবে।
ঢাকা থেকে একদম সকালের ফার্স্ট ট্রিপের বাসে মংলা পৌঁছাতে ঘণ্টা চারেক সময় লাগবে। এরপর একটা বোটে করে রওনা হবো বনবাসের উদ্দেশে। পশুর নদী দিয়ে আমাদের বোট এগিয়ে যাবে। চারপাশের গ্রামীণ প্রকৃতি দেখতে দেখতে। শ্রাবণ আকাশে থাকবে নানারকম রঙের খেলা। কখনো মেঘের ঘনঘটা। আবার পরক্ষণেই ঝকঝকে নীল সাদা আকাশ। বেশ কিছুক্ষণ পর পশুর নদীর মূল চ্যানেল ছেড়ে আমরা সুন্দরবনের ক্যানেলে ঢুকে পড়বো। আঁকাবাঁকা ক্যানেলের দুপাশে ঘন সবুজ জঙ্গল। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বোট রাইড শেষে আমরা পৌঁছাবো বনবাসে। ইনশাআল্লাহ প্রথম দর্শনেই মুগ্ধ করবে বনবাস। এ যেন জলের উপর ইকো প্ল্যালেস! মংলার দাকোপ এলাকায় ঢাংমারি খালের একপারে এই ইকো রিসোর্টটা গড়ে তোলা হয়েছে। আর ঠিক ওপারেই সুন্দরবন। আগেকার দিনে সাধারণত কাউকে জোর করে বনবাসে পাঠানো হতো। কিন্তু আমরা বনবাসে যাচ্ছি স্বেচ্ছায়, মনের সুখে!
এখানে ২টা ক্যাটাগরির মোট ৫টা কটেজ আছে- ডুপ্লেক্স ভিলা আর এসি ভিলা। সুন্দরি, গোলপাতাসহ আরও নানারকম গাছ-গাছালি বেষ্টিত কাঠের তৈরি ওয়াক ওয়ে পেরিয়ে প্রতিটা কটেজে যেতে হয়। কাঠের তৈরি এই কটেজগুলোর কাঠামো এবং এর অন্দরমহলের সবকিছুতেই নান্দনিকতার ছোঁয়া স্পষ্ট। প্রতিটা কটেজের বারান্দায় দড়ি দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি একটা বসার ব্যবস্থা করা রয়েছে। সেখানে বসে ক্যানেল আর সুন্দরবনের যে সৌন্দর্য দেখা যায়, সেটা মনোমুগ্ধকর। বনবাসের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হলো এর ডাইনিং আর এর সামনের জায়গাটুকু। এখানে দোলনাসহ বেশ কয়েকটা সুন্দর বসার জায়গা করা আছে। যেখানে বসে চারপাশের প্রকৃতি দেখতে দেখতে একটা অলস দিন অনায়াসে পার করে দিতে পারবেন।
জঙ্গলে সন্ধ্যা নামে ঝুপ করে। আকাশে তখন কোটি কোটি তারার মেলা। বনের মাথার ওপরে একটা চাঁদ। ঝিঁঝিঁ পোকা, তক্ষক আর ব্যাঙেরা অনর্গল ডাকছে। বুনো হাওয়া বইছিল চারপাশে। তারপর গল্প গানের আড্ডায় রাত পার করা। জোয়ার ভাটা দেখে আপনিও উপকূলীয় প্রকৃতি ধারণা পাবেন, সময় পেলে বেড়িয়ে আসতে পারেন লোকাল বাজার।
সকালের স্নিগ্ধ পরিবেশে চারপাশটা বেশ সুন্দর থাকবে। বনবাসের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হবেই। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে এ রকম দারুণ পরিবেশে দুটো দিন কাটানোর চমৎকার এক অভিজ্ঞতা। ওহ এরপর থাকছে করমজল ভ্রমণ যেখানে কচ্ছপ ও কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র, রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার ও জঙ্গলে নানা গাছপালা ও বানরের ঝাঁক দেখতে হেটে বেড়ানোর ট্রেইল।
পরিকল্পনাঃ
যাত্রাঃ আগস্ট ২৯ তারিখ শুক্রবার সকাল ৬টায়
নির্ধারিত আসন গ্রহন করে রওনা,
বেলা ১১ টায় মোংলায় পৌছানো।
নৌকা আর ভ্যানে রিসোর্টে পৌছানো।
ডুপ্লেক্স রুমে উঠে আমরা লাঞ্চ করতে যাবো।
সারাদিন রিসোর্টে সময় কাটাবো
বিকেলে যাবো বাজারে
রাতে আড্ডা গান
পরেরদিন ৩০ তারিখ সকালের নাস্তা সেরে ফটো সেশনের পরে ১১ টায় চেক আউট। রিসোর্ট থেকে করমজল সুন্দরবনের অভয়ারণ্য দেখে মোংলা থেকে বেলা ৫ টায় বাসে রওনা দিয়ে রাত ৯.৪৫ টায় ঢাকায় পৌঁছানো।
দলঃ - ১১ জন
প্ল্যাকেজঃ
জনপ্রতি ৬০০০/- ৬ জনের ডুপ্লেক্স
জনপ্রতি ৬৬০০/- ৪ জনের ডুপ্লেক্স
জনপ্রতি ৭২০০/- ৩ জনের ডুপ্লেক্স
জনপ্রতি ৭৮০০/- ২ জনের ডুপ্লেক্স
এবং
শিশু ১-৩ ফ্রি
৪-৫ বছর হাফ
যা যা থাকবেঃ
ঢাকা থেকে মোংলা বাসে যাতায়াত
নৌকা ও লোকাল যানবাহন
মোংলা থেকে রিসোর্টের নৌকায় যাতায়াত
স্ট্যান্ডার্ড লাঞ্চ + ডিনার + ব্রেকফাস্ট
নৌকায় সুন্দরবনের চ্যানেল ঘোরা
রিসোর্টে ১ রাত থাকা।
১টি দুপুর ও ১ টি রাতের খাবার, ফেরার দিনে সকালের খাবার
ট্রিপ লিডার
করমজল ভ্রমণ
রিসোর্টে খাবার পানি
যা যা থাকছে নাঃ
হাইওয়েতে কোনো খাবার
উল্মেলেখিত মেনুর বাইরের খাবার
বার বি কিউ
মেডিসিন
ব্যাক্তিগত খরচ
ফেরার দিনের দুপুরের খাবার
খাবার বাইরে অতিরিক্ত চা/ কফি/ স্নাকস
## নিশ্চিত যেতে চান যারা ( সিট থাকা সাপেক্ষে ) জনপ্রতি ৩০০০ টাকা অগ্রিম সহ আসন নিশ্চিত করবেন( বিকাশে চার্জ সহ দিতে হবে)
* টাকা পাঠাতে পারবেন ব্যাংক একাউন্টেও
রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি
==========
কনফার্মেশনের জন্য অগ্রীম ৩০০০/- টাকা প্রদান করতে হবে।
টাকা পাঠানোর পর টেক্সট করবেন।
01711978072 পারসোনাল বিকাস
**#**
সকল অবস্থায় Traveler’s Whistle 'র সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ।
নোটঃ
১.কিছু জানতে বা জানাতে কমেন্ট করুন, কোনো প্রশ্ন বা কনফিউশন থাকলে কমেন্ট করে রাখাই উত্তম, আমাদের প্রশ্নোত্তর বাকিদের কাজে দিতে পারে।
২. একশ কথার এক কথা সাথে করে নিয়ে যাওয়া চিপস বা স্যালাইন চকোলেট বিস্কিটের প্যাকেট নিজের পকেটে বা ব্যাগে ভরে রাখবেন, পরে নিদিৃষ্ট স্থানে ফেলে দেয়ার জন্য।
৩. নিশ্চিত যারা যাবো তাদের একটি গ্রুপ চ্যাটবক্স করে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
৪. ফেরার দিনের লাঞ্চ কোথায় কিভাবে হবে, তা যাবার দিন আমরা একসাথে বসে ডিসিশন নিবো ৩০০-৪০০ টাকায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
❑ ❑ ** গুরুত্বপূর্ণ **
# সব থেকে জরূরী, ট্রিপ ডিটেইলস টা মনোযোগ দিয়ে পড়া।
# প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা এক্সিডেন্টাল কোনো ইস্যুতে খরচ বেড়ে গেলে সেই বর্ধিত খরচ আমরা সবাই মিলেই বহন করবো। কারন প্রাকৃতিক দুর্যোগ/দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না এবং এর উপর আমাদের কারো কোনো হাত নেই।
# প্ল্যানের মধ্যে নতুন কোনো প্ল্যানের আবদার না করার বিশেষ অনুরোধ।
# অপ্রয়োজনীয় সাহস দেখানো যাবেন না।
# আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবশ্যই ঢাকা থেকে নিয়ে রওনা দিবেন। কেনাকাটা করার মতো জায়গা পাবোনা বললেই চলে।
# প্রয়োজনীয় কাজে যথাসম্ভব হেল্প করা মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।
# শেষ মুহুর্তে সফর বাতিল করলে বুকিং মানি ফেরত দেয়া হবে না।
# যার যা যা প্রয়োজন ঢাকা থেকে নিয়ে যাবেন, সেখানে দোকানপাট নেই বললেই চলে। ঢাকা থেকে না নিয়ে সেখানে গিয়ে আফসোস অক্রবে না।
❑ ❑ সতর্কতাঃ
# যেহেতু সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা তাই উঁচু শব্দে কোন ডিভাইসে গান বাজানো যাবে না।
# রাত ১০ টার পর কোন হট্টগোল/ গান বাজনা করা যাবে না।
# ট্রিপলিডার বা গাইডের অনুমতি ছাড়া রিসোর্টের বাইরে যাওয়া যাবে না।
# অনুমতি ছাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িতে প্রবেশ বা নারী -শিশুদের ছবি উঠানো নিষিদ্ধ।
# নিদিষ্ট স্থান ছাড়া প্লাস্টিক, বোতল বা ময়লা আবর্জনা ফেলা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
প্রয়োজনেঃ
সজীব
০১৭১১৯৭৮০৭২
ট্রাভেলার্স হুইসেল
You may also like the following events from Syfur Rahman Sajib: