কথিত আছে, বিক্রমপুর রাজা বিক্রমাদিত্যের শহর। কে ছিলেন এই বিক্রমাদিত্য? দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত, ধর্মপাল দুজনেই এই উপাধি ধারণ করেছিলেন। আবার সেন বংশীয় নৃপতি বিক্রম সেনও রয়েছেন এই এলাকার শাসকের তালিকায়। অনেক ইতিহাসবেত্তার ধারণায় এটিই ছিলো বাংলার প্রাচীনতম রাজধানী। সেই সময়ের পুরাতন কিছু ক্ষয়ে যাওয়া নিদর্শন আজও ঠায় দাঁড়িয়ে সাক্ষী দেয় ইতিহাসের। সুলতানি আমলে বসা নগর কসবা যেনো আরেক পানাম নগর। মানুষের বসতি এখনও রয়েছে এখানে। রয়েছে মুঘল আমলের পুল! বিক্রমপুরের প্রথম সুফি বাবা আদম শহীদ এর মসজিদ এখনো বিভিন্ন লোককথার প্রধান উপাদান। ১৩০০ বছরের ইতিহাস লুকানো নাটেশ্বর বোদ্ধ মন্দিরে। নবম শতক থেকে বিংশ শতকের ইতিহাসের পথে ঘুরব আমরা ১১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে।
আপাতত একটা ফর্ম (
https://rb.gy/1x8rh2) ফিল আপ করে ২৪৪০ (২৪০০+৪০) টাকা জমা দেবেন মিরাস-ই-বাঙ্গালাহর বিকাশ নম্বরে (০১৭১৭৪৪৩১৮৫ পার্সোনাল), রেফারেন্সে নিজের নাম লিখে। আপনার গোয়িং দেয়াটা আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে না এই টাকাটা বিকাশ না করা পর্যন্ত। আগের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি ইভেন্টে গোয়িং দিয়ে রাখলেও অনেকেই আর আসেন না, ফলে পরে রেজিস্ট্রেশন করতে চাওয়া অনেকে যোগ দিতে পারেন না।
এই ২৪০০ টাকার ভেতরে সকালের নাশতা, ১১ টার চা-সিংগাড়া, দুপুরের খাবার (চিকেন খিচুড়ি + ডিম), সান্ধ্যকালীন জলখাবার, ঢাকার পিক আপ পয়েন্ট থেকে যাত্রা করে ফিরে আসা- সবই রয়েছে; ব্যক্তিগত খরচ ছাড়া।
আমরা আড্ডা দেই, হেরিটেজ সাইটগুলো নিয়ে তথ্য দেই গল্প করি (দুর্ভাগ্যক্রমে সেটাই আমাদের ধ্যান-জ্ঞান, আমাদের লেখাপড়ার গণ্ডিও সেটা)। প্রশ্ন করবেন, মনে যত যা আছে, মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে। আমরা আছিই এজন্য। ঠিক পাঁচটায় ইভেন্ট শেষ হবে কি হবে না বলা মুশকিল। তাই সকাল ৭টায় জড়ো হওয়া মানে, সকাল ৭ টাতেই, সেটা ৭:০৫ নয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমরা যথাসম্ভব এককালীন প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে। তাই নিজ নিজ পানির বোতল বহন করার জন্য অনুরোধ করা হল। সেটা রিফিল করার মত জায়গা থেকে আমরা রিফিল করে নেবো।