প্রাচ্যনাট প্রযোজনা-৩৫
ফিলিস্তিনি লেখক ঘাসান কানাফানি'র উপন্যাস
'MEN IN THE SUN' অবলম্বনে পুলসিরাত | P U L S I R A A T
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
অনুবাদ: মাসুমুল আলম
নাট্যরুপ: মনিরুল ইসলাম রুবেল
নির্দেশনা: কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন
২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, সন্ধ্যা ৭.৩০ মি.।
মূল হল, জাতীয় নাট্যশালা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা। ।
টিকিট বুকিং-এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৩১৩৭৭৪৪০০
টিকিট লিংক:
https://tinyurl.com/42w7wkeu
”পুলসিরাত“ প্রযোজনার বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন:
https://prachyanat.com/stage-drama/#play-pulsiraat
প্রাচ্যনাট প্রযোজনা ১৫
“কিনু কাহারের থেটার”
রচনা: মনোজ মিত্র
নির্দেশনা: কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন
২৬ অক্টোবর, রবিবার, ২০২৫। সন্ধ্যা ০৭.৩০ মি.।
মূল হল, জাতীয় নাট্যশালা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা।
অনলাইন টিকিট :
https://tinyurl.com/hy5kfaaa
টিকিট বুকিং‘র জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৩১৩৭৭৪৪০০
“কিনু কাহারের থেটার” প্রযোজনার বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
https://prachyanat.com/stage-drama/#play-kinu
#prachyanat
#bdtheater
#theater
পুলসিরাত নাটকের কাহিনী সংক্ষেপ:
অসংখ্য ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষের মতোই ওরা তিনজন- আবু কায়েস, আসাদ ও মারওয়ান- নিজেদের ভাগ্যান্বেষণের জন্য ফিলিস্তিন থেকে স্বপ্নের কুয়েতে পাড়ি জমাতে চায়। তিনজন বয়সে এবং প্রজন্মে আলাদা হলেও এক জায়গায় মিল- তারা সবাই বিড়ম্বিত উদ্বাস্তু।
আবু কায়েস তার দুই সন্তান ও এক স্ত্রী রেখে বন্ধুর পরামর্শে নতুন এক স্বচ্ছন্দময় স্বচ্ছল জীবনের আকাক্সক্ষা নিয়ে কুয়েত পাড়ি দিতে চায়। তার স্বপ্ন , তার সন্তানেরা স্কুলে পড়াশোনা করতে পারবে। বয়সের কারণেই হোক বা চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যই হোক- স্বভাবে বেশ নরম ও কিছুটা ভীতু স্বভাবের আবু কায়েস। আর তার ঠিক বিপরীত চরিত্রের আসাদ। বয়সে সে তরুণ। কিছুটা রাগী এবং স্বভাবে বেশ কৌশলী। সে এর আগেও সীমান্ত পার হয়ে অবৈধ পথে কুয়েত যেতে চেষ্টা করেছিল। নিশ্চিত ও উন্নত ভবিষ্যত, চাচাতো বোন কে বিয়ে করার স্বপ্ন আবার একই সাথে চাচার করা অপমান তাকে যুগপৎ তাড়িত করে। অন্য দিকে ষোল বছরের মারওয়ান স্কুলের পড়াশোনা ছেড়ে নিজের পরিবারের দায়িত্বের চাপে পাড়ি দিতে চায় স্বপ্নের কুয়েতে। নিজের বড় ভাই কুয়েত থাকে। সেখানে সে কাজ করে দেশে পরিবারের জন্য টাকা পাঠাতো। কিন্তু বিয়ে করে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়। তার বাবা সন্তানদের ভরণ পোষণে অপারগ হয়ে নিজের স্বচ্ছ্বল জীবনের স্বপ্ন পূরনে এক পঙ্গু মহিলা কে বিয়ে করে আলাদা হয়ে যায়। মারওয়ান তাই পরিবারকে বাঁচাতে অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি দিতে চায় কুয়েত।
তারা সবাই-ই ঘটনাক্রমে আবুল খাইজুরানের শরণাপন্ন হয়। আবুল খাইজুরান একজন পানিবাহী ট্যাঙ্ক লরির ড্রাইভার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সে ব্রিটিশ বাহিনির হয়ে যুদ্ধ করেছে। আবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথেও কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। সেখানে একবার আকস্মিক হামলায় সে বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়। এই আবুল খাইজুরান কায়েস, আসাদ আর মারওয়ানকে স্বপ্নের কুয়েত পর্যন্ত নিয়ে যেতে এগিয়ে আসে। বিনিময়ে সে তিন জনের কাছ থেকে দশ দিনার করে নেবে। তার পানিবাহী লরিতে করে সে সীমান্ত পাড়ি দিবে তিন জনকে নিয়ে। খাইজুরানের জন্য সেটা কোন কষ্টকর কিছুনা। আগস্ট মাসের প্রচন্ড গরমে, রোদে পুড়ে মরুভূমির পথে লরিটি এগিয়ে যায়। তিনটি হতভাগ্য বিড়ম্বিত জীবন ছুটে চলে স্বপ্নময় এক নতুন স্বচ্ছ্বল জীবনের প্রত্যাশায়... পাড়ি দিতে ছুটে চলে এক পুলসিরাত!
“কিনু কাহারের থেটার” নাটকের কাহিনী সংক্ষেপ
পুতনা রাজ্যের উজির এক নারীর শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে। লাট সাহেব বললেন, "এর যদি বিচার না হয়, তাহলে আমি সিংহাসন ফালাইয়া দিব"। রাজা পড়লেন মহাসংকটে। উজির তার প্রাণের দোসর, তাকে কি করে চোদ্দ ঘা চাবুক মারতে আদেশ দিবেন তিনি? উজিরকে বুদ্ধি দিলেন, একজন লোক ঠিক করতে, যে আদালতে এসে সাক্ষ্য দিবে উজির নয়, অপকর্মটি করেছে আসলে সে, তাই সাজাও তারই প্রাপ্য।
চার থলি টাকার বিনিময়ে ঘন্টাকর্নের বৌ জগদম্বা উজিরের হাতে তুলে দিল তার স্বামীকে। তারপর ঘন্টাকর্ণের বাড়ির দুয়ারে যত চোর, ডাকাত, দাগী আসামীর লাইন, থলি থলি টাকা নিয়ে সবাই দাঁড়িয়ে, অপরাধ করে তারা আর সাজা ভোগ করে 'সাজা খেকো অফিসার' ঘন্টাকর্ন। জগদম্বা খুশি তার স্বামী কামাই করতে শিখেছে, রাজা খুশি ক্ষমতা টিকে যাওয়ার আনন্দে। উজির খুশি দেশে আর কোন আইনের সংকট নেই। চারিদিকে শান্তি, শান্তি ,শান্তি। কিন্তু এভাবে যদি দিন যেত তাহলে তো কথাই ছিল না। হঠাৎ একদিন রাজা ফেঁসে গেলেন ছাগল হত্যার দায়ে। লাট সাহেবের বুদ্ধির প্যাঁচে রাজার হল ফাঁসির আদেশ। রাজা বললেন, ভয় কি, আমার তো মাস মাইনের চাকুরে ঘন্টাকর্ন আছেই, 'নে রে বাপ ঘন্টাকর্ন, উঠে পর ফাঁসি কাষ্ঠে'। তারপর?
তারপর দেখতে হলে চলে আসুন ২৬ অক্টোবর, রবিবার ২০২৫।
Also check out other Arts events in Dhaka, Theatre events in Dhaka, Performances in Dhaka.