“বাংলার লোকসংস্কৃতি” নিয়ে কাব্যলোকের ৪৮তম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে। আয়োজনটি ১১-১২ জুলাই ২০২৫ হাওরে ভাসমান চলমান হাউস-বোটে অনুষ্ঠিত হবে।
১০ জুলাই রাতে ঢাকা থেকে রওয়ান দিয়ে ১১ জুলাই সকালে কাব্যলোকের সদস্যরা হাউস-বোটে আরোহন করে ৩৬ ঘন্টা বোটে অবস্থা করে (এক রাত্রিযাপনসহ) ১২ জুলাই রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরতি যাত্রা করবে।
এই ৩৬ ঘন্টা সময়ের মধ্যে আমরা হাউস-বোটে কাব্যলোকের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা ছাড়াও এ যাত্রায় আমরা:
১। সুবিশাল টাঙ্গুয়ার হাওরের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করবো।
২। বারিক্কা টিলা বা বারেকের টিলা ভ্রমণ করবো, যেখান থেকে মেঘালয়ের বিস্তীর্ণ পর্বতশ্রেণী দেখবো এবং উপভোগ করবো জাদুকাটা নদীর অপরূপ সৌন্দর্য (নিজ খরচে ঘোড়-সওয়ার সুযোগ এবং মোটর সাইকেলে পুরো এলাকা ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে এখানে)।
৩। বিখ্যাত নীলাদ্রী লেক পরিদর্শন করবো এবং লেক সংলগ্ন টেকেরঘাটে জাদুকাটা নদীতে হাউস-বোটে রাত্রযাপন করবো (লেকের মধ্যে বোটে করে ঘুরতে চাইলে নিজ খরচে করতে হবে)।
৪। ট্যাকেরঘাটে ২০১৩ সালে নির্মিত “তাহিরপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ” দেখবো।
৫। অপরূপা জাদুকাটা নদীতে সন্তরণ ও স্নান করবো।
৬। গোলাবাড়ির হিজলবাগানে বাগানে (ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন) হাওরের পানীতে সন্তরণ ও ডুবা-ডুবি করবো (চাইলে ওয়াচ টাওয়ারে ওঠা যাবে)।
৭। ওয়াচ টাওয়ারের কাছে নিজ খরচে দেশী নৌকায় ভ্রমণ করা যাবে।
৮। লাকমা ছড়া (ঝরনা) পরিদর্শন করবো।
৯। অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি শিমুল বাগান পরিদর্শন করবো (নিজ খরচে ঘোড় সওয়ার সুযোগ রয়েছে এখানে)।
১০। প্রকৃতির সাথে পাল্লা দিয়ে সময় করতে পারলে ফিরতি-যাত্রার বিকেল/সন্ধ্যায় হাছন রাজার পৈত্রিক ভিটা/বাড়ি পরিদর্শন করবো।
হাউস-বোটে এক কেবিনে ২/৩ জনের থাকার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রতিদিন ৩ বেলা মূল খাবারের সাথে দুই বেলা হালকা স্ন্যাকসের ব্যবস্থা থাকবে।
ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ আসা-যাওয়ার সময় রাত্রিকালীন খাবারের আয়োজন থাকবে পথিমধ্যে সুবিধাজনক স্থানে।
অনুষ্ঠানে যোগদানের খরচ জনপ্রতি ৯,০০০/০০ টাকা (এক কেবিনে ৩ জন)। এক কেবিনে ২ জন থাকতে চাইলে খরচ বেড়ে হবে ১৩,০০০/০০ টাকা জনপ্রতি। এই ফি’র মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে-
১। ঢাকা সুনামগঞ্জ যাওয়া আসা (নন-এসি বাসে বা এসি কোস্টারে- পরে জানানো হবে)।
২। যাত্রাকালীন দুইটি রাতের খাবার-সহ মোট ৭ বেলার মূল খাবার ও ৪টি হালকা খাবার খরচ।
৩। শিমুল বাগানের এন্ট্রি ফি।
৪। লাকমা ছড়া যাওয়া আসা (ইজি-বাইক) খরচ।
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ৫০ শতাংশ অগ্রীম ফি প্রদান করে বুকিং দিতে হবে। বুকিং মানি কোন অবস্থাতেই ফেরতযোগ্য নয়। যাত্রার দিন বাসে/কোস্টারে আরোহন করার পূর্বেই বাকী টাকা পরিশোধ করতে হবে।