🥁🥁🥁 দশম সাহস উৎসব- ২০২৬ 🥁🥁🥁
আগ্রহীরা আজই যোগাযোগ করুন। আসন সংখ্যা সীমিত।
🍁 🍁 🍁 🍁 🍁 🍁 🍁 🍁 🍁 🍁 🍁 🍁
ড. ত্রিদিব বসুর মস্তিষ্ক প্রসূত সাহস উৎসব-এর এবার দশম বছরে পদার্পণ। অভিযাত্রিক কার্যাবলী যে কেবল তরুণ বয়সের জন্যই সীমাবদ্ধ নয়, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ সাহস উৎসব। হোটেলে গিয়ে মেনুকার্ড দেখে যেমন আমরা পছন্দের খাবার অর্ডার করি ঠিক তেমনই এখানে নানা বয়সী সাহসীরা আসেন, খাদ্যতালিকা থেকে নিজের পছন্দসই অ্যাক্টিভিটির স্বাদ নেন। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের এমন উৎসব তাই ভূ-ভারতে দুটি নেই।
আসুন, সকলে মিলে দশম সাহস উৎসবকে করে তুলি অনন্য। সাহস উৎসব পরিষদের পরিচালনায় ও কৃষ্ণনগর অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এ মহাযজ্ঞে সপরিবার ও সবান্ধব যোগ দিয়ে স্বর্গতঃ ড. ত্রিদিব বসুর লালিত কল্পতরুতে বারিসিঞ্চন করি।
– মুরারি চক্রবর্তী
আহ্বায়ক, সাহস উৎসব পরিষদ
যোগাযোগঃ
+91-6290123150 - মুরারি চক্রবর্তী
+91-9333380006 - পুষ্পেন্দু মজুমদার
+91-8972268934 - শুভজিৎ প্রামাণিক
https://mykaf.in/sahos.php
সাহস উৎসবের মেনুকার্ডঃ
Map Reading
GPS & Advanced Route Making
Jungle Trek
Introduction to HAM Radio
Chemtuburu Peak Climbing
Photography Basics
Riverbed Trek
Compass Activity
Orienteering
Survival Tricks & Tools
Stargazing
Disaster Preparedness
Rope Activity
Emergency First-Aid
Rock Climbing
Memory Game
Trek to Darigara Point
Local Sightseeing
Origami - Art of folding paper
Chhau Dance
২৩-জানুয়ারি-২০২৬ (শুক্রবার)
রাত ১১:৩৫-এ হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া চক্রধরপুর এক্সপ্রেস (HWH CKP EXP - 18011) ধরে যাত্রা শুরু।
২৪-জানুয়ারি-২০২৬ (শনিবার)
পুরুলিয়ার বরাভূম (BBM) স্টেশনে ভোরবেলা নেমে নির্দিষ্ট গাড়ি করে শোনকূপির ক্যাম্পসাইটে পৌঁছনো। পথে সবুজ পাহাড়ের সারি, সকালের মনোরম শীতল হাওয়ার সঙ্গে মিঠে রোদ মেখে কুয়াশার চাদর। কালো পিচের রাস্তার পাশে মোহময়ী প্রকৃতি। মাঝে একটা-দুটো মাটির বাড়ি, দেওয়ালে আলপনা আঁকা।
উৎসব প্রাঙ্গনে পৌঁছে প্রাতরাশ সেরে ফ্রেস হয়ে নির্ধারিত টেন্ট কিংবা কটেজে ব্যাগ-পত্তর রেখে টি-সার্ট, টুপি সহ কিট্ সংগ্রহ। তারপর পরিচয়পর্ব।
এর পর?
এর পর থেকে উৎসবের মেজাজে শুরু হয়ে যাবে নানা রকম অ্যাক্টিভিটি। সারাদিন নিত্যনতুন অভিজ্ঞতা। নিজের শারীরিক ক্ষমতাকে নতুন করে চেনা, মনের জোরকে শান দেওয়া। সঙ্গে তো অবশ্যই রয়েছে নানা স্বাদের রসনা তৃপ্তির আয়োজন। সাহস উৎসবে যারা আগে এসেছেন সেই সাহসীরা নিশ্চিত জানেন - ভোজনের আয়োজনও সাহস উৎসবে কতোটা উপাদেয়!
সাহস উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো - এখানে শৃঙ্খলা আছে কিন্তু শৃঙ্খল নেই।
এখানে সব অ্যাক্টিভিটি একটা রেস্টুরেন্টের মেনুকার্ডের মতো সাজানো। যার যেটা পছন্দ - সে সেটাই করবে, কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কারো যদি মনে হয় সারাদিন ক্যাম্পসাইটে বসে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখবে, পাখির গান শুনবে আর গুনগুন করে প্রিয় গানের কলিতে মন ভাসাবে কিংবা কাগজ কলম নিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেলবে - তাতেও কেউ বাধা দেবে না। আবার রিভারবেড ট্রেক করতে করতে আলসে দুপুরে গাছের ছায়ায় সবাই মিলে বসে বিউটেন গ্যাসে কফি বানিয়ে মান্না দের গান... সে এক পরম প্রাপ্তি।
জীবনকে নতুন করে চেনার উৎসব সাহস উৎসব।
প্রকৃতির সাথে প্রাণভরে বাঁচার উদযাপন সাহস উৎসব।
তাই তো যারা একবার সাহস উৎসবে আসেন - তারা বারবার আসেন। অভিযাত্রিক মনের কোনো বয়স হয় না, বয়স একটা সংখ্যামাত্র - এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ প্রতিটি বছর়ের সাহস উৎসব।
বহু গুণী মানুষের এমন একত্রযাপন বোধহয় সাহস উৎসবেই হয়। দিন যত এগোয়, সম্পর্কের বাঁধন ততো পোক্ত হয়।
অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন - রক ক্লাইম্বিং, ট্রেকিং এসব তো কোনো কালে করিনি। তা হলে সাহস উৎসবে যাবো কেন? কিংবা, ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করছে। ও সব তো ওরাও কোনোদিন করবে না, তা হলে ওদেরই বা নিয়ে যাবো কেন?
উত্তর একটাই। আমরা নিজেই আমাদের সামর্থের সঙ্গে সম্যকভাবে পরিচিত নই। আমরা জানিই না - আমরা কতোটা কী করতে পারি। নিজের সামর্থকে নিজের ক্ষমতাকে বাস্তব পরিস্থিতিতে যাচাই করার সুযোগ করে দেয় সাহস উৎসব। যা ফিরে এসে মনোবল বাড়ায়। নিজের কাজে নিজেকে অতিক্রম করার ক্ষমতা যোগায়। শিশু-কিশোর-কিশোরীদের মোবাইল ফোনের ওয়ালপেপারে প্রকৃতির প্রতিরূপ না দেখিয়ে সত্যিকারের প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শের অনুভূতি এনে দেয়। মা-বাবার হেলিকপ্টার পেরেন্টিং থেকে মুক্ত করে তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার পাঠ দেয়।
সাহস উৎসবের প্রতিটি অ্যাক্টিভিটি সুদূরপ্রসারী ভাবনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সেগুলির নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি অ্যাক্টিভিটি জীবনের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার সাহস যোগায় কিন্তু নিয়মের কাঠিন্য তাকে পিড়ীত করে না - তাই তো এর নাম সাহস উৎসব।
দেখতে দেখতে কখন যে তিনটে রাত কেটে যায়, বোঝাই যায় না। চলে আসে বিদায়ের ক্ষণ।
২৭-জানুয়ারি-২০২৬ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বরাভূম স্টেশন থেকে আবার ট্রেন ধরা বাড়ির উদ্দেশ্যে।
তারপর আবার এক বছরের অপেক্ষা ...
সাহস উৎসবের দশম বর্ষে পুরোনো সাহসীদের নস্ট্যালজিয়ার সঙ্গে নতুন সাহসীদের উদ্যম মিলেমিশে সাহস উৎসব প্রাঙ্গন এক মহামিলনক্ষেত্র হয়ে উঠুক। সাহস উৎসবের প্রাণপুরুষ ড. ত্রিদিব বসুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এর চেয়ে ভালো উপায় আর কীই বা হতে পারে!
Also check out other Trips & Adventurous Activities in Purulia, Arts events in Purulia.