বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক আধুনিকতার যাত্রায় ঐতিহাসিক এক অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে মুসলিম সাহিত্য সমাজ তথা শিখাগোষ্ঠী। তাদের চিন্তার উপরই দাড়িয়েই পরবর্তী বাংলাদেশের চিন্তার প্রধান ধারা গড়ে উঠে বললেও অত্যুক্তি হয় না। যদিও তাদের চিন্তার প্রধান আশ্রয় ছিল সাহিত্য। তবু মূলত সমাজই ছিল তাদের প্রধান মনোযোগের কেন্দ্র। বুদ্ধিবৃত্তিক প্রেষণায় নব-উদ্যমে সমাজ তথা জাতীয় মনন সংস্কার ও গঠনের মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া, আধুনিক বিশ্বে বাঙ্গালির, বিশেষত বাঙালি মুসলমানের স্বতন্ত্র কিন্তু ঐকতানিক পদচারণারই প্রচেষ্টার নাম শিখাগোষ্ঠী। যুক্তি, বুদ্ধি, সাহিত্য-ললিতকলা, আর জ্ঞানের বহ্নিশিখায় স্থবির, জরাগ্রস্ত পুরাতনকে অগ্নিস্নানে বিশুদ্ধ করে বাঙালি মুসলমানের প্রাণে নতুন জীবনের সুর ধ্বনিত করাই ছিল শিখাগোষ্ঠির লক্ষ্য।
এই বহ্নিশিখার ইন্ধন বা রসদ এসেছে জীবনের ও জ্ঞানের নানান ঘাট থেকে। এককেন্দ্রিক, একমুখী কোন উৎস থেকে না। তারা ইউরোপের রেনেসাঁ, আলোকায়ন থেকে যেমন নিয়েছেন যুক্তির খুরধার বৌদ্ধিকতা, হিন্দু রেনেসাঁ থেকে নিয়েছেন সাংস্কৃতিক শক্তি আর ইসলামের প্রাণরস। শিখাগোষ্ঠীর উপর ইউরোপ, হিন্দু রেনেসাঁর এই প্রভাব সুবিদিত এবং পন্ডিত মহলে বহুল আলোচিত ও চর্চিত হলেও, সমসাময়িক কিংবা অব্যবহিত পূর্বেকালের মুসলিম মনীষা, যেমন উত্তরভারতের আলীগড়ে আন্দোলনের ব্যক্তিত্বরা, বিশেষত সৈয়দ আমির আলির মত বিদ্বজ্জন এবং তাদের কাজের সাথে তাঁর যোগাযোগ সাহিত্যে, পান্ডিত্যে মশহুর নয়। শিখাগোষ্ঠীর আসন্ন শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে শিখার পূনর্পাঠ এবং পুনর্মূল্যায়নের জায়গা থেকে, শিখার এই অনুদঘাটিত দিকটি বুঝার চেষ্টায় শিখাগোষ্ঠীর উপর আমির আলির প্রভাব নিয়ে আমরা এই আলাপের আয়োজন করেছি।
📅তারিখ: ২৪ অক্টোবর, ২০২৫
🕓সময়: বিকাল ৪টা
📍স্থান: সিরাজুল ইসলাম লেকচার হল, লেকচার থিয়েটার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আয়োজনে প্রবন্ধ পাঠ করবেন লেখক সেন্টার ফর ইসলামিকেট বেঙ্গলের রিসার্চ এসোসিয়েট আব্দুল্লাহ মাছউদ। আমাদের মাঝে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ কাউসার মোস্তফা আবুল উলাইয়া, লেখক ও গবেষক ড.কাজল রশীদ শাহীন এবং কবি ও ক্রিটিক ইমরুল হাসান।