ক্ষমতার রঙ কী? ক্ষমতাকে দেখতে কেমন? এ দুটো প্রশ্নের উত্তর আমরা একভাবে জানি,বুঝি,দেখি।যদিও সে জানা-বোঝা-দেখায় বিস্তর গোলমাল থেকেই যায়। তবুও তার একভাবে উত্তর আমাদের কাছে আছে। কিন্তু ক্ষমতার সংস্কৃতি কিভাবে আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে, কিভাবে আমাদের অজ্ঞাতেই তা আমরা বহন করি, গ্রহণ করি, প্রয়োগ করি, কথ্য ভাষায় ব্যবহার করি, শরীরী ভাষায় প্রয়োগ করি, তা আমরা বুঝতেও পারি না, ধরতেও পারি না। বুঝিয়ে দিলে, ধরিয়ে দিলেও তা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না। অজস্র উদাহরণ রয়েছে।আপাতত একটা দুটো উদাহরণে দেখা যাক।
বাঙালি নারী-পুরুষের কব্জির মানচিত্র লক্ষনীয়ভাবে বদল ঘটেছে গত কয়েক বছরে।নানান রকমের তাগা, নানান রঙের পুঁতির মালা, আংটি তো আছেই। আগে যে বাঙালি হাতে তাগা পড়তে লজ্জা পেত, সেই বাঙালি আজ সগর্বে কব্জিতে এসব পড়ছে তো বটেই, কপালেও নানান তিলক কাটতেও পিছপা হচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হল, এই পাল্টে যাওয়াটা ঘটলো কি করে? লক্ষ্য করলে দেখবেন সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা (কিছু ক্ষেত্রে বামেরা বাদ দিয়ে) তাদের কব্জি বদলিয়েছে।বদলেছে কপালও। তাহলে এরাই কী ক্ষমতা? নাকি ক্ষমতার প্রতিনিধি মাত্র?খেয়াল করলে দেখবেন সিরিয়ালের কনটেন্ট কিভাবে পাল্টে গেল! খেয়াল করলে দেখবেন, জনমানসে সব কিছু মেনে নেওয়ার, সহ্যশক্তি বাড়ানোর ধারণা কিভাবে চালু করে দেওয়া গেল।
আমরা খেয়াল করিনা এই সাংস্কৃতিক বদলগুলো।যেগুলোই আসলে ধীরে ধীরে বদলে দেয় মানুষকে। আমরা ভাবি সরকার বদলালে বুঝি বা এগুলো বদলে যাবে! তাই কি আদৌ?
এই সমস্ত দিক গুলো নিয়ে শ্রী তীর্থঙ্কর চন্দ আগামী ২২এ আগস্ট তপন থিয়েটারের ওপরের সেমিনার কক্ষে আলোচনা করবেন।
আপনি নিমন্ত্রিত।আসতে পারেন।