বাংলাদেশের ইতিহাসে উচ্চারিত এক অনন্য বীর শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়কদের অন্যতম তিনি।১৯৬৯ সালে তাকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইয়ুব বিরোধী গণঅভ্যুত্থান পেয়েছিলো চূড়ান্ত মাত্রা। জহুরুল হক অন্যায়ের বিরুদ্ধে চোখ রাঙানোর শক্তি, মাথা উঁচু করে বাঁচার প্রেরণা। ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ১৭ নম্বর আসামি, বিমান বাহিনীর সাহসী এই বীর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি অবস্থায় পাকিস্তানি হাবিলদার মঞ্জুর শাহ এর হাত থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে বলেছিলেন-" তোমাদের হাতে অস্ত্র আছে তাই এত ক্ষমতা দেখাচ্ছো। চাইলে আমরা খালি হাতে এই ক্যান্টনমেন্ট দখল করতে পারি। " এ যেন ২৪' এর অভ্যুত্থানের সকল বিপ্লবীদের চিরচেনা রূপেরই আধার। ২৪' এ এসে সাঈদ-মুগ্ধ যেন তারই প্রতিচ্ছবি। তাই বাঙালির মনে আজও জ্বালাময়ী দুর্নিবার নাম -সার্জেন্ট জহুরুল হক।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জহুরুল হক হল ছিলো মুক্তিকামী ছাত্রদের 'পাওয়ার হাউজ'। স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকাটি এই হলের একটি কক্ষেই তৈরি হয়েছিলো। ২৫ শে মার্চে হানাদার বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্যবস্তু ছিলো এই হলটি। তবুও পুরো স্বাধীনতা সংগ্রাম জুড়েই এই হলের শিক্ষার্থীরা ছিলো সম্মুখ সারিতে। নষ্টে যাওয়া শহরের বুকে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক নিসর্গের লীলাভূমি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল বাংলাদেশের মানুষের সকল মুক্তির লড়াইয়ে রেখেছে প্রেরণাময়ী পথিকৃৎ-এর ভূমিকা। ২৪' এর স্বাধীনতাতেও এই হলের শিক্ষার্থীরা ছিলো অগ্রগামী এবং তাদের সাহস ও অবদান ছিলো অসামান্য। ফ্যাসিবাদী শক্তির আস্ফালনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো যখন ব্যর্থ তখন এই হলেরই কিছু শিক্ষার্থী বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিপ্লবের আগুন শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেন। ১৭ জুলাই প্রথম প্রহরে তৎকালীন সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের হাত থেকে হলটি মুক্ত করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই খবর দ্রুতবেগে ছড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলসমূহ প্রবল মুক্তির আকাঙ্খার আগুনে ফেটে পড়ে এবং নিজেদের হল মুক্ত করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। তারপর এই স্ফুলিঙ্গ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এক অভূতপূর্ব বিপ্লবের রূপ ধারণ করে।
"ঐতিহাসিকতার নিরিখে বাঙ্গালী জাতি ও বাংলাদেশি রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্য-পরিক্রমার জ্ঞান ও বাহাসভিত্তিক বোঝাপড়া, ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, সাংস্কৃতিক লড়াই এবং ভূরাজনৈতিক শক্তি হিসেবে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নীতি ও কর্মপন্থা এবং ঔচিত্যের তুখোড় বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্লেষণ" সম্পর্কিত ধারণা দেশীয় বিতর্ক অঙ্গনে হাজির করার লক্ষ্যে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বিতর্ক সংগঠন " হাউজ অব ডিবেটরস" আয়োজন করতে যাচ্ছে ৯ম শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক স্মারক আন্তঃক্লাব বিতর্ক প্রতিযোগিতা -২০২৫।
আপনারা সবান্ধব আমন্ত্রিত।
প্রতিযোগিতার ফরমেট:
আন্তঃক্লাব (কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়)
বিতর্কের তারিখ: কলেজ পর্যায় ২৫ ডিসেম্বর,২০২৫
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় ২৬ ডিসেম্বর,২০২৫
রেজিস্ট্রেশন ফি: কলেজ পর্যায় ৭১০/- এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় ১০২০/-
প্রতিযোগিতার সাধারণ নিয়মাবলি :
১. কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের যেকোনো ক্লাব তাদের স্ব স্ব ফরমেটে রেজিষ্ট্রেশন ও স্লট প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
২. বাংলা ভাষায় এশিয়ান সংসদীয় পদ্ধতিতে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
৩. প্রথম পর্যায়ে চার রাউন্ডের ট্যাব পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
৪. ট্যাব পর্বে প্রত্যেক দল চার রাউন্ড বিতর্ক করার সুযোগ পাবে।
৫. কোয়ার্টার ব্রেক দেয়া হবে এবং পোস্ট ট্যাব পর্যায়ে বিতার্কিকরা ৭ মিনিট স্পিচ দেয়ার সুযোগ পাবেন
প্রাক-নিবন্ধন লিংক:
কলেজ পর্যায় :
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় :
প্রাক-নিবন্ধনের শেষ সময়: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, রাত ১১:৫৯ মিনিট।
যেকোনো প্রয়োজনে,
কাজী সাইফুল
সাধারণ সম্পাদক, হাউজ অব ডিবেটরস
ফোন নাম্বার : 01521791879
মোনেম শাহরিয়ার অন্তু
সভাপতি, হাউজ অব ডিবেটরস
ফোন নাম্বার : 01611801786