বাংলাদেশ- পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপ প্রাকৃতিকভাবেই সমৃদ্ধ। ভৌগোলিক কারণেই ফসলের ক্ষেতে, নদীর তীরে, বাতাসে তরঙ্গ খেলা করে। মনের ভাব প্রকাশ করতে গিয়ে সুর তাই আপনা-আপনিই চলে আসে। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে মধ্যযুগ পর্যন্ত কেবল গীতিকাব্য এবং কাহিনীকাব্যের জয়জয়কার। কৃষিপ্রধান সমাজে সন্ধ্যে বেলায় সবাই গল্পগুজব, আড্ডায় মেতে উঠতো। কেউ ধরতো গান। একটু বয়স্ক লোকেরা বাড়ির উঠোনে আসর জমিয়ে করতেন পুঁথি পাঠ। কথা-শব্দের ছন্দে শ্রোতার মানসপটে আঁকা হতো সে পুঁথির কাহিনী। সাহিত্যের এক অমুল্য রূপ। পারিবারিক বন্ধন নিবিড়ভাবে অটুট হতো একান্নবর্তী পরিবারে। একই সাথে ফসল বোনার পরের অবসর সময়টাতে গ্রামে গ্রামে হতো পালাগানের আসর, কবির লড়াই, পটচিত্রে কাহিনীকাব্য বর্ণনা, কীর্তন।
.
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি বিশেষ সময়ে রচিত বিশেষ ধরণের সাহিত্যই পুঁথি সাহিত্য নামে পরিচিত। আঠারো থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত ছিলো এর ব্যাপ্তিকাল। এ সাহিত্যের রচয়িতা এবং পাঠক উভয়ই ছিল মুসলমান সম্প্রদায়। কিন্তু পরবর্তীতে তা সর্বস্তরের মানুষের জন্য বিকশিত হয়। কালের পরিক্রমায় আমাদের ঐতিহ্যবাহী পুঁথি সাহিত্য প্রায় হারিয়ে গেলেও, আমরা চাই তাকে ভিন্ন আঙ্গিকে হলেও ফিরিয়ে আনতে। চেয়েছি, পুথির সুরে একটা পরীক্ষামূলক আয়োজনের।
.
হেরিটেজ ওয়াক ঢাকা - স্থাপত্যের পাশাপাশি Intangible Cultural Heritage নিয়েও কাজ করতে চেয়েছে সবসময়। সেই লক্ষ্যেই তিলোত্তমা ঢাকায় আমাদের এবারের আয়োজন "হাজার বছর ধরে"।
-
১) বাংলাদেশ স্কুল অব হারমনি Bangladesh School of Harmony (ওয়ারী শাখা)
চেলো(Cello), ভায়োলিন ও গিটারের ইন্সট্রুমেন্টালের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আমাদের আয়োজন
২) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন মৈমনসিংহ গীতিকা। কবি দ্বিজ কানাই প্রণীত "মহুয়া" দৃশ্য কাব্যটি পুঁথির সুরে পরিবেশন করা হবে। সমগ্র পুঁথিটি পাঠ করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সৌরভ পাল শুভ(নৃবিজ্ঞান বিভাগ), দীপ্ত সেন(সমাজবিজ্ঞান বিভাগ) এবং নাফিসা আনজুম (স্কুল শিক্ষক, আবৃত্তিশিল্পী)।
৩) প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের 'মামলার সাক্ষী ময়না পাখি' সম্পূর্ণ গল্পটি পুঁথি আকারে পাঠ করা হবে। পুঁথিটি পাঠ করবেন রোকনুজ্জামান সজল। সজল বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক ডেভেলপমেন্ট এনজিও তে কর্মরত আছেন।
৪) সাথে থাকছে বাংলার গান- পরিবেশনায় গীতলবঙ্গের গান। আমাদের গান---- ধানের গান, নদীর গান, মাটির গান, বাতাসের গান, আকুতিভরা আবেগের গান, খাবারের গান।
-
যান্ত্রিক ঢাকার বুকে বসে গ্রামবাংলার উঠোন ঘিরে বসা পুঁথি পাঠের এই আসরে শামিল হতে চলে আসুন —আগামী ১৮ই অক্টোবর, শনিবার সন্ধ্যায়। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে।
পুঁথি পাঠ শুরু হবে ঠিক সূর্যাস্তের খানিকটা পর(প্রায় সাড়ে ৫টা নাগাদ), শেষ হতে আনুমানিক রাত ৯ টা
-
অংশগ্রহণ:
অংশগ্রহণের জন্যে প্রথমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে ফর্ম ফিলাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
যেহেতু আসনসীমা সীমিত, সর্বোচ্চ ৮০ জন, তাই সিট ফিলাপ হয়ে গেলে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হয়ে যাবে।
আয়োজনটিতে যেকোন বয়সী অংশ নিতে পারবেন। শিশুদেরও সাথে আনতে আমরা উৎসাহিত করি। তবে, শিশুদের জন্যে বয়সসীমা ৫+
জনপ্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি
.
শুভানুধ্যায়ী ১০০০ টাকা
চাকুরীজীবী ৫০০ টাকা
শিক্ষার্থী ৩০০ টাকা
আপনি বিকাশ, রকেট কিংবা নগদে এই টাকা পরিশোধ করতে পারেন(অফেরতযোগ্য)
বিকাশ: 01676559136 (Personal)
রকেট: 016765591360 (Personal)
নগদ: 01676559136 (Personal)
.
রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিচের ফর্মটি পূরণ করতে হবে
https://forms.gle/bat8r6s398iMZx6G9
.
এই আয়োজন সংক্রান্ত যেকোন আপডেটের জন্যে ইভেন্ট পেইজে চোখ রাখতে হবে। এই ইভেন্টে ব্যবহৃত সব আর্টওয়ার্ক ও ছবির সত্ত্ব হেরিটেজ ওয়াক ঢাকা’-র
Also check out other Music events in Dhaka, Entertainment events in Dhaka.