✅ FRB Keokradong Tour – Official Rules & Guidelines**
১. রাইডিং সেফটি**
* সবার জন্য **হেলমেট বাধ্যতামূলক**
* ফুল সেফটি গিয়ার (জ্যাকেট, গ্লাভস, শু) ব্যবহার করতে হবে।
* বাইকের ব্রেক, টায়ার, লাইট এবং ইঞ্জিন ভালো অবস্থায় নিশ্চিত করতে হবে
২. গ্রুপ ডিসিপ্লিন**
* লিড রাইডার ও টেইল রাইডারের নির্দেশনা মানতে হবে
* ওভারটেক করা **সম্পূর্ণ নিষেধ**, জরুরি হলে সিগন্যাল ব্যবহার করতে হবে
৩. স্পিড লিমিট**
* হাইওয়েতে গ্রুপ স্পিড: **60–80 km/h**
* পাহাড়ি রাস্তায় স্পিড: **20–40 km/h**
* বৃষ্টি বা কুয়াশায় স্পিড আরও কম রাখতে হবে
৪. দায়িত্বশীল আচরণ**
* অপ্রয়োজনীয় হর্ন, রেসিং, স্টান্ট করা নিষিদ্ধ
* কারো বাইক বা যাত্রায় বাধা সৃষ্টি করা যাবে না
* পরিবেশ নোংরা করা যাবে না—প্লাস্টিক/বোতল ব্যাগে রাখুন
৫. বিরতি ও ফুয়েল**
* লিডার যে পয়েন্ট নির্ধারণ করবে সেখানেই স্টপ হবে
* সবাইকে একসাথে ফুয়েল ফিলাপ করতে হবে
* কারো সমস্যা হলে গ্রুপকে জানাতে হবে
৬. জরুরি পরিস্থিতি**
* প্রত্যেকে ন্যূনতম ফার্স্ট এইড বহন করবে
* কোনো রাইডার পড়ে গেলে বা সমস্যা হলে পুরো কনভয় থামবে।
* ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট নাম্বার গ্রুপ লিডারদের কাছে থাকতে হবে
৭. আচরণবিধি**
* স্থানীয় সংস্কৃতি, মানুষ, প্রকৃতি ও জায়গাকে সম্মান করতে হবে
* উচ্চ শব্দ, ঝগড়া, অসৌজন্য আচরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
নিশ্চয়ই, **পাহাড়ে রাইড করার সময় অতিরিক্ত যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকতে হয়—সংক্ষেপে** তুলে দিলাম:
---
## ⛰️ **পাহাড়ে রাইড করার সময় অতিরিক্ত সাবধানতার মূল পয়েন্ট (সংক্ষেপে)**
✅ **১. কম ও নিয়ন্ত্রিত স্পিড**
বাঁক ও খাড়া রাস্তার কারণে অতিরিক্ত স্পিড সবচেয়ে বিপদজনক।
✅ **২. গ্রাভেল, বালি ও ভেজা অংশে সতর্কতা**
এগুলোতে টায়ারের গ্রিপ কমে গিয়ে স্কিড হতে পারে।
✅ **৩. বাঁকে হঠাৎ টার্ন বা ওভারটেক নয়**
কারণ সামনে কি আছে দেখা যায় না।
✅ **৪. লোয়ার গিয়ার ব্যবহার**
উঠা–নামা উভয় সময়েই নিয়ন্ত্রণ বাড়ে, ব্রেকের চাপ কমে।
✅ **৫. হঠাৎ ব্রেক এড়িয়ে চলা**
হঠাৎ ব্রেক দিলে বাইক স্লিপ করতে পারে—মিশ্র ব্রেক (front+rear) ব্যবহার করুন।
✅ **৬. যথেষ্ট সেফ দূরত্ব রাখা**
সামনের রাইডার ভুল করলে আপনি বাঁচতে পারবেন।
✅ **৭. রাস্তার কিনারা থেকে দূরে থাকা**
কখনো ভাঙা অংশ, গ্রাভেল বা খাদ থাকতে পারে।
✅ **৮. ক্লান্ত হলে রাইড নয়**
পাহাড়ে মনোযোগ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
---
🧭 **পাহাড়ে নতুন রাইডারদের জন্য জরুরি সাবধানতা**
✅ ১. **লো স্পিড – হাই কন্ট্রোল**
পাহাড়ি রাস্তায় স্পিড বেশি হলে ভুল হলে সামাল দেওয়া কঠিন।
**২০–৩০ কিমি/ঘণ্টা** স্পিডই সবচেয়ে নিরাপদ।
---
✅ ২. **ব্রেক ব্যবহার শিখে নিন**
* শুধুমাত্র ফ্রন্ট ব্রেক টানলে স্লিপ হতে পারে
* শুধুমাত্র রেয়ার ব্রেক দিলেও স্কিড হতে পারে
👉 তাই **ফ্রন্ট + রেয়ার মিক্সড ব্রেক** ব্যবহার করুন
---
✅ ৩. **টার্নে বাইক বেশি হেলাবেন না**
পাহাড়ি রাস্তায় গ্রাভেল, বালি, ভেজা অংশ থাকে—এতে হেলে গেলে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি।
**স্মুথ ও কম কোণে** টার্ন নিন।
---
✅ ৪. **হঠাৎ ওভারটেক করবেন না**
কারণ বাঁকের আড়ালে কি আছে তা দেখা যায় না।
হঠাৎ গাড়ি বা খালি ট্রাক চলে আসতে পারে।
---
✅ ৫. **লোয়ার গিয়ার ব্যবহার করুন**
পাহাড়ে উঠা ও নামার সময় লোয়ার গিয়ারে থাকলে:
* ইঞ্জিন ব্রেক ভালো কাজ করে
* বাইক নিয়ন্ত্রণে থাকে
* ব্রেকে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না
---
✅ ৬. **হ্যান্ডেল শক্ত করে নয়—ফ্লেক্সিবল ধরে চালান**
হ্যান্ডেল খুব শক্ত করে ধরলে ব্যালেন্স কমে যায়।
ফ্লেক্সিবল গ্রিপে রাস্তায় ভাইব্রেশন শোষিত হয়।
---
✅ ৭. **যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন**
সামনের রাইডার হঠাৎ ব্রেক করলে পেছনেরজন ধাক্কা খেতে পারে।
**৫–১০ সেকেন্ডের সেফ গ্যাপ** রাখুন।
---
✅ ৮. **রাস্তার বাঁ পাশের কিনারায় বেশি ঠেকবেন না**
কারণ:
* নিচে খাদ থাকতে পারে
* রাস্তা ভাঙা থাকতে পারে
* গ্রাভেল বেশি থাকে
মাঝারি নিরাপদ লাইন ধরে চালান।
---
✅ ৯. **চোখ সবসময় সামনে – দূরের দিকে রাখুন**
সামনের ৩০–৫০ মিটার দেখলে
আগেই বাঁক, খাদ, বালির প্যাচ বোঝা যায়।
---
✅ ১০. **শরীর ও বাইকের ফিটনেস**
* টায়ার গ্রিপ ভালো আছে?
* ব্রেক প্যাড ঠিক আছে?
* সাসপেনশন ভালো?
* রাইডার নিজে কি ক্লান্ত?
নতুন রাইডার হলে **বেশি ঘন ঘন ব্রেক নিন**।
---
✅ ১১. **ভয় পেলে স্পিড কমান—থামা নিরাপদ**
পাহাড়ে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক।
ভয় পেলে ধীরে ধীরে কন্ট্রোল পয়েন্টে আসুন অথবা সাইডে দাঁড়ান।
---
✅ ১২. **লিডারের নির্দেশনা মানুন**
গ্রুপ লিডার পাহাড়ি রাস্তায় অভিজ্ঞ।
তারা যেভাবে বলে, **সেই লাইন–সেই স্পিডে** চলুন।
## বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন:
মোঃ ফুরকান আহমেদ
01921111818
মোঃ রাহুল
01316815398
কামাল হোসেন
01962003900