আপনার পূজার ছুটি কাটান বিশাল ম্যানগ্রোভ বনে।
৪ রাত ৩ দিনের লং ট্যুরে সুন্দরবন ভ্রমণ।
যাত্রার তারিখঃ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফেরার তারিখঃ ৪ অক্টোবর ২০২৫
✪ ট্যুর ডিউরেশনঃ
➤ ৪ রাত ৩ দিন।
☆☆ বুকিং এর লাস্ট ডেটঃ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
➤ সম্ভাব্য ভ্রমণ বিবরণঃ
৩০ তারিখ সন্ধ্যা ৭ টায় ময়মনসিংহ থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু,
পরেরদিন সকাল ৭:৩০ মিনিটে খুলনা জেলখানা ঘাট থেকে আমাদের গাইড আপনাকে রিসিভ করে শীপে নিয়ে যাবে।
রুপসা এবং পশুর নদী ধরে খুলনা শিপইয়ার্ড,রুপসা ব্রিজ,রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মংলা বন্দর পাশে রেখে আমাদের শীপ চলবে হাড়বাড়িয়ার উদ্দেশ্যে।
দুপুরের খাবার খেয়ে নামবো "হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে । আগে পিছে গান ম্যান রেখে সারিবদ্ধ ভাবে যাবো নির্ধারিত ফুট ট্রেইল ধরে। মিষ্টি পানির পুকুর পার হয়ে ঢুকবো গভীর বনে৷ দু'পাশে থাকবে ঘন শ্বাসমূল যুক্ত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। সুন্দরী, গোলপাতা,গেওয়া গাছ এই বনে বেশী। প্রচুর হরিণের পায়েরছাপ এবং নিশ্চুপ থাকলে হরিণের পাল দেখা যাবে। কাকড়ার পাল ছুটে লুকাবে আপনার চলার শব্দে।প্রায় ১ মাইল ট্রেইল ঘুরে পুকুরের উপর নির্মিত কাঠের রেষ্ট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে শীপে ফিরে আসবো। শীপে ফিরে বিকালের নাস্তা খাবো।
শীপ চলবে সাগরের মোহনায় অবস্থিত "কটকা অভয়ারণ্যে।
২য় দিন:
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশী নৌকায় ক্যানেল ক্রুজিং এবং চুপ থেকে বনের নিস্তব্ধতা উপভোগ করবো৷ সেখান থেকে টাইগার ট্রি'র ঝোপ,হরিণের বিচরণের মাঠ এবং গভীর বন পেরিয়ে আড়াই কিলো দূরের বাদামতলা সী বীচে যাবো। উপভোগ করবো বাংলাদেশর দুই গর্ব "সুন্দরবন" এবং 'বঙ্গপোসাগর " এর মিলন স্থান।
এরপর শীপে ফিরে সকালের নাস্তা করে যাবো টাইগার টিলার উদ্দেশ্যে। কাঁদা,শ্বাসমূল আর ভয়ংকর গড়ান বন পেরিয়ে টাইগার টিলার অবস্থান।যাওয়ার পথে খুব কাছ থেকে হরিণের পাল দেখা যাবে।
এরপর ফিরবো শীপে৷ শীপ যাবে হিরণ পয়েন্ট বা "কচিখালির" উদ্দেশ্যে।
হিরণ পয়েন্ট বা "কচিখালিতে" গা,ছমছমে ছন বনের ভিতর দিয়ে হাটবো। হরিণের পাল মাথা উচু করে আপনাকে দেখেই ছুটে পালাবে এবং আপনি বুঝবেন কেনো এ জায়গা কে বাঘের ডাইনিং বলা হয়। ছমছমে ভাব নিয়েই ফিরবো শীপে। শীপে করে যাবো দুবলার চর বা ডিমের চর
মনোরম সুন্দর সী বীচে থাকবো সন্ধ্যার পর পর্যন্ত। তারপর ফিরবো শীপে। শীপ চলবে করমজলের উদ্দেশ্যে।
৩য় দিনঃ
করমজলে নোনা পানির বাংলাদেশের একমাত্র কুমির প্রজনন কেন্দ্র। ছোট বড় কুমির,বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির কচ্ছপ,বানরের পালের বাদরামি এবং হরিণকে হাত থেকে ঘাস খাইয়ে শীপে ফিরে খুলনা/মংলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো।
নিরাপত্তা:
নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের কোন আপোস নেই। আপনাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবে বাংলাদেশ বনবিভাগের দুই জন সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী । আবহাওয়া এবং অন্য যে কোন প্রয়োজনে VHF এর মাধ্যমে ফরেস্ট, কোষ্ট গার্ড এবং নৌ-বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন।
ভেসেলে উঠার পরে কোন প্রকার কেনাকাটার সুযোগ নেই। এবং বনের গভীরে কিছু যায়গায় শুধু টেলিটক মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
✪ ভ্রমণের খরচঃ
১২৫০০ টাকা (এক কেবিনে ৪ জন)
১৩৫০০ টাকা জনপ্রতি (এক কেবিনে ২ জন)
১৪৫০০ টাকা জনপ্রতি (এক কেবিনে ২ জন-এটাচ ওয়াশরুম)
✪ বুকিং মানিঃ
= জনপ্রতি ৬০০০ টাকা (অফেরতযোগ্য)।
(বিকাশ, নগদ, বা রকেটে ৬১২০ টাকা)
বাকি টাকা যাত্রার দিন পরিশোধ করতে হবে।
অথবা আমাদের সাথে সরাসরি দেখা করেও বুকিং কনফার্ম করতে পারবেন।
বিকাশ পেমেন্টঃ
https://bit.ly/PayBookingMoney
✪ ভ্রমণের স্থানঃ
➤ হাড়বাড়িয়া
➤ জামতলা সী-বীচ
➤ কটকা অফিস পাড়
➤ টাইগার পয়েন্ট
➤ কচিখালি/দুবলার চর
➤ করমজল
➤ ডিমের চর/হিরণ পয়েন্ট
➤ ক্যানাল ক্রজিং
✪ ট্যুর কনফার্ম করতে যোগাযোগ করুনঃ
☎️ 01537-222240 (বিকাশ মার্চেন্ট)
অথবা আমাদের পেইজে মেসেজ করতে পারেন।
🏡অফিসঃ ২৪৩, নুরজাহান কমপ্লেক্স, দ্বিতীয় তলা, স্টেশন রোড, সদর, ময়মনসিংহ।
গ্রুপ লিংকঃ www.facebook.com/groups/MymensinghTravellers
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বুকিং নেওয়া হবে (আসন খালি থাকা সাপেক্ষে) তাই দ্রুত আপনার আসন নিশ্চিত করুন।
✪ আসন সংখ্যাঃ সর্বোচ্চ ১০ জন।
✪ এই প্যাকেজে যা যা থাকবেঃ
➤ ময়মনসিংহ - খুলনা - ময়মনসিংহ যাতায়াত খরচ।
➤ শীপে ২ রাত থাকার খরচ।
➤ শীপে উঠার পর থেকে প্রতিদিন ৫ বেলা খাবার খরচ।
➤ সুন্দরবন গাইড খরচ।
✪ প্যাকেজে যা যা থাকবে নাঃ
➤ প্যাকেজে উল্লেখ নেই এমন কোন কিছুর খরচ।
➤ হাইওয়ে যাত্রা বিরতিতে খাবার বা অন্য কোন খরচ।
➤ কোনো ধরনের ওষুধ বা অন্যান্য কেনাকাটার খরচ।
➤ কোনো ধরনের ব্যক্তিগত খরচ।
খাবার মেন্যুঃ
⭕১ম দিন:
🔹 সকাল: ব্রেড, মাখন,জেলি, ডিম, কলা,মধু, চা/কফি।
🔹বেলা ১১ টা- কেক, চা/কফি।
🔹দুপুরে: সাদা ভাত, মিক্স ভেজিটেবল, মাছের কারী, মুরগির কারী, ডাল ,সালাদ।
🔹সন্ধ্যা:৬:০০ পুরি, চা/কফি।
🔹রাতে: এগ ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, , চাইনিজ ভেজিটেবল, সালাদ,সফট ড্রিংস।
⭕ ২য় দিন:
🔹সকালে ৫:৩০- বিস্কিট, চা/কফি।
🔹জঙ্গল সাফারিতে আপেল এবং পানি।
🔹সকাল ৯ টা: ভুনা খিচুরি, বেগুন ভাজী, ডিমের কারি, আচার, সালাদ, চা/কফি।
🔹বেলা ১১ টা- পেয়ারা, চা/কফি।
🔹দুপুরে: সাদাভাত, চিংড়ি শাক, ফিস ,চিকেন , ডাল, সালাদ।
🔹সন্ধা ৬টা- সিংগারা , চা/কফি।
🔹রাত্রে: পরোটা, চিকেন বারবিকিউ, ফিস বারবিকিউ, ডাল ভুনা, রাশিয়ান সালাদ, কোল্ড ড্রিংস।
⭕৩য় দিন:
🔹সকালে: সাদা ভাত, সবজি, ডিম ভাজি, ভর্তা, ডাল, চা/কফি।
🔹বেলা ১১টা- পুরি, চা/কফি।
🔹দুপুরে- পোলাও , গরু /খাসির চুই ঝালের রেজালা, মুরগির রোস্ট, বেগুন ভাজা, ডাল ভুনা, দই, সালাদ।
🔹বিকেলে- পাকুড়া, চা/কফি।
✪ যা সাথে নিতে হবেঃ
➤ NID বা স্টুডেন্ট আইডি।
➤ পানির বোতল।
➤ পাওয়ার ব্যাংক(যদি থাকে)।
➤ ক্যামেরা বা মোবাইল এর প্রয়োজনীয় চার্জার (যদি থাকে)।
➤ প্রয়োজনীয় জামাকাপড়।
➤ ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
আমাদের প্রতিটা ট্যুরেই মেয়েদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা মেইন্টেইন করা হয়, আপুদের জন্য রয়েছে আমাদের আলাদা মেয়ে হোস্ট।
সুতরাং অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় আপুরাও নিশ্চিন্তে যেতে পারেন আমাদের সাথে।
বিঃদ্রঃ কর্তৃপক্ষ যেকোন প্রয়োজনে বা পরিস্থিতিতে আসন, ট্যুর প্ল্যান এমনকি ট্যুর ডেট পরিবর্তনের একছত্র ক্ষমতা রাখে।
You may also like the following events from Mymensingh Travellers: