ধুপ্পানির বিশালতার সাথে কাপ্তাই লেকের মোহমায়ায়"
বর্ষা এখন পাহাড়ে ভরা যৌবন নিয়ে ধীরে ধীরে হাজির হবার প্রক্রিয়ায়। কাপ্তাই লেক ও ফিরে পাচ্ছে ভরা যৌবন। সাথে এর পাশের পাহাড়গুলো সাজছে তাদের চিরচেনা সবুজে। দূরে তাকালেই দেখা মিলবে পাহাড়ের গাঁ বেয়ে মেঘেদের আলিঙ্গণের অভূতপূর্ব দৃশ্য। কাপ্তাই লেক এমনই ছবির মতো সুন্দর করে সাজানো প্রাকৃতিক ভাবে.....
অন্যদিকে, ধুপ্পানি জলপ্রপাত নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার প্রয়াস অবশ্য নেই। গত কয়েক বছরে এই জলপ্রপাতটি ভ্রমণপ্রিয় মানুষের বাকেটলিস্টের উপরের দিকে জায়গা করে নিয়েছে তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের গুণে। এর গঠনগত প্রকৃতি, ট্রেকিং রুট, এবং সর্বোপরি বিশালতা আপনার চোখ কপালে তুলবে, ফেরাতে পারবেন না তার মায়াকে তুচ্ছ করে নিজের চোখ....
বর্ষার সবুজ পাহাড় যেন এক দূর চিন্তা জগতের অলঙ্ঘনীয় আকর্ষণ যাকে একবার ছুঁয়ে দেখতে পারার আকাঙ্ক্ষা আপনার এক জীবনে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। প্রিয় বর্ষা আর তার অনন্যা কন্যা বান্দরবান এর আসল প্রকৃতির মিশ্রনে আত্মার শুদ্ধিকরন ও মন ভোলানো মুহুর্ত জড়ো করতে আপনিও হতে পারেন, একজন প্রফেশনাল ট্রাভেলার্স
একই ট্রিপে আমরা দেখবো ন্যূনতম তিনটি বিশাল জলপ্রপাত। যথাক্রমেঃ
১। ধুপ্পানি
২। মুপ্পোছড়া ও
৩। ন'কাটা
সময় সাপেক্ষে আমরা গাছকাটা ঝর্ণাও দেখে আসবো।
এছাড়া তো কাপ্তাই লেকের সুদীর্ঘ বোট জার্নিতে তার সৌন্দর্যে মাতোয়ারা হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ তো পাচ্ছেনই....
💥 এক্টিভিটিঃ রিলাক্স ও বিগিনার লেভেল ট্রেকিং।
♦️ ট্রিপের ব্যাপ্তিকালঃ ৩ রাত ২ দিন (আসা-যাওয়া সহ)
🏕️ একোমোডেশনঃ কটেজ
⚡⚡ আসন সংখ্যাঃ ২০ জন
🚍 যাত্রা শুরুঃ ০৭ আগষ্ট ২০২৫ রাত ১০টা
🚍 ফেরাঃ ১০ আগষ্ট ২০২৫ ভোর ৫টা আনুমানিক।
💢💢 ভ্রমণ পরিকল্পনাঃ
০ তম দিনঃ
ঢাকা থেকে রাতের বাসে কাপ্তাই এর উদ্দেশ্যে যাত্রা।
১ম দিনঃ
কাপ্তাই পৌঁছে নাস্তা করে বোটে চড়বো বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে। ২-২ঃ৩০ ঘন্টার জার্নি শেষে বিলাইছড়ি পৌঁছে কটেজে চেক ইন করে বেরিয়ে পড়বো মুপ্পোছড়া এবং ন'কাটা ঝর্ণার উদ্দেশ্যে। আসা যাওয়া মিলিয়ে ২ঃ৩০ ঘন্টার ট্রেকিং মাত্র। কটেজে পৌঁছে লাঞ্চ সেরে বিকেল এবং সন্ধ্যাটা কাপ্তাই লেকের পাড়ে তার অলৌকিক সৌন্দর্যের সন্ধানে হারাবো।
২য় দিনঃ
খুব ভোরে নৌকায় চড়ে বসবো উলুছড়ির উদ্দেশ্যে। ডিম ভাজি এবং ভুনা খিচুড়ি সহ নাস্তা সারবো যাত্রা পথেই। উলুছড়ি থেকে ট্রেকিং শুরু ধুপ্পানি ঝর্ণার উদ্দেশ্যে। আসা যাওয়া মিলিয়ে ৫-৬ ঘন্টার ট্রেকিং শেষে বিকেলের মাঝে কটেজে পৌঁছে লাঞ্চ করে রওনা করবো কাপ্তাইয়ের উদ্দেশ্যে।
কাপ্তাইতে রাতের খাবার শেষে ঢাকার বাসে চড়বো।
৩য় দিনঃ
ভোর ৬টার মাঝে ইনশাআল্লাহ ঢাকা পৌঁছাবো।
💰💰 ইভেন্ট ফিঃ ৫৫০০/- টাকা (ঢাকা - ঢাকা)
💫💫 কনফার্মেশন প্রসেসঃ
বিকাশ কিংবা নগদ এর মাধ্যমে বুকিং কনফার্ম:
01886-834373 (bkash, Nagad personal)
👁️🗨️👁️🗨️ কনফার্ম করার শেষ সময়ঃ ৩১ জুলাই , ২০২৫
♦️♦️ ইভেন্ট ফী তে যা যা পাচ্ছেনঃ
১. সকল ধরনের যাতায়াত (ঢাকা-কাপ্তাই-বিলাইছড়ি-উলুছড়ি-ঢাকা)
(বাস-বোট)
২. প্রফেশনাল গাইড সার্ভিস
৩. রাতে থাকার সব খরচ
৪. অভিজ্ঞ হোস্ট
৫. দুইদিনে মোট ০৬ বেলা খাবার
৬. পাহাড়ে ট্রেকিং ও ক্যাম্পিং স্কিল ডেভলাপ করা নিয়ে বেসিক ব্রিফিং ও কন্সাল্টেন্সি।
🚫🚫 যা যা পাচ্ছেন নাঃ
উপরে বর্ণিত তথ্যের বাইরে যেকোন বিকল্প।
★ যেহেতু ট্রেকিং ট্রিপ তাই একটু চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে এটি বেশ রিলাক্স ট্রিপ বলা চলে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অবস্থা বুঝে পরিবর্তিত হতে পারে। এছাড়া যে কোন অনাখাঙ্খিত কোনো ঘটনার জন্য কোনো বাড়তি খরচ হলে তা সবাইকে মিলেই বহন করতে হবে।
🖐️🖐️ ট্রেকিং এ যা যা অবশ্যই সাথে নিতে হবে
------------------------------------------------------
১। ব্যাকপ্যাক - অবশ্যই ভালো মানের ট্রেকিং ব্যাগ যা দীর্ঘক্ষণ ট্রেকিংয়েও পিঠ ঘামাবে না এবং কোমড়ের উপরে চাপ সৃষ্টি করবে না । সাথে রেইন কভার, পলিথিন
২। ট্রেকিং প্যান্ট
৩। ট্রেকিং স্যান্ডেল
৪। টি শার্ট ২/৩টি (হাফ ও ফুল স্লিভ)
৫। হাফ প্যান্ট, ট্রাউজার
৬। টুথ ব্রাশ - পেস্ট - সাবান
৭। গামছা
৮। পানির বোতল (১ লিটারের ১ টা)
৯। প্রাথমিক ওষুধ, স্যালাইন, গ্লুকোজ
১০। মশার জন্য ওডোমস ক্রিম
১১। এন আই ডি / স্টুডেন্ট আই ডি কার্ডের ফটোকপি ৫ টা ★★★
১২। রেইন কোট/পঞ্চ
★★ বিঃ দ্রঃ
# এটি বিগিনার লেভেলের ট্রেকিং ট্রিপ
# প্রতিদিন সূর্যের অথবা বৃষ্টির নিচে ৩-৫ ঘণ্টা করে ট্রেক করতে হবে
# ট্রেকিং এর সময় দুপুরে ভারি খাবারে কিছুটা দেরী হতে পারে, তাই শুকনো খাবারই ভরসা ওই সময়ে....
# পথে পানির স্বল্পতা থাকতে পারে
# যেকোনো প্রকারের দুর্ঘটনা যখন তখন হতে পারে
# দয়া করে এই ভ্রমন এড়িয়ে যান, যদি আপনাকে দ্বারা নিম্নাক্ত ধরনের কাজগুলো হতে পারে বলে মনে করেন...
* দলনেতার কথা না মানা
* দলের হয়ে কাজ না করা
* পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে না পারা
আরো বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ
Kawcher- 01936834371