Khulna Cycling Community ভাসমান পেয়ারা বাজার সাইক্লিং ২০২৪
Event by: Khulna Cycling Community
======================
ভাসমান পেয়ারা বাজারে সাইক্লিং করা সাইকেল প্রেমিদের জন্য বর্ষার মৌসুমে অন্যতম আকর্ষণীয় এ্যাডভেঞ্চার ইভেন্ট। আর তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আমরা খুলনা সাইক্লিং কমিউনিটি ভাষমান পেয়ারা বাজার রাইডে যাচ্ছি। গতবারের ন্যায় এবারো এই আইকনিক রাইডকে স্মৃতিময় ও কালারফুল করে তুলতে আমরা সবাই এই ইভেন্টের নিজের নাম সম্বলিত আকর্ষণীয় জার্সি পরিধান করে রাইড দিবো।
ইভেন্টটি আগামি ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুর ০২:৩০ টা থেকে শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে ১৮ জুলাই (শুক্রবার) রাত ১১ টা পর্যন্ত হতে পারে। যারা যেতে ইচ্ছুক তারা ক্যালেন্ডার মার্ক করে রাখুন আর চলে আসুন আমাদের এই রাইডে।
যার যেতে আগ্রহী তারা গোয়িং দিয়ে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করুন আর উপভোগ করুন আমাদের রোমাঞ্চকর এই ভাসমান পেয়ারা বাজার রাইড।
ইভেন্টে হোটেল বুকিং ও ট্রলার ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা অগ্রীম (অফেরতযোগ্য) ফি দিয়ে এখনই রেজিস্টেশন করুন।
রেজিস্ট্রেশন ফি আপনারা সকলে খুলনার রাসেল সাইকেল স্টোরে জমা দিতে পারেন অথবা এই বিকাশ (01912075878) নাম্বারে অথবা নগদ (01712690122) ৫১০ টাকা পাঠিয়ে দিয়ে জানিয়ে দিন।
আগ্রহীরা দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে জয়েন হয়ে যান এই ইভেন্টের ম্যাসেন্জার গ্রুপে।
✪ রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন ১৬ জুলাই ২০২৫ বিকেল ৫টা।
খাবার ও অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ রেজিস্ট্রেশনের আন্তভুক্ত নয়।
আর হ্যা যারা আমাদের সাথে যেতে আগ্রহী ১৬ জুলাই ২০২৫ এর আগেই রেজিস্ট্রেশন করে আমাদের এই আয়োজনের সাথে থেকে আয়োজনকে আরো সুন্দর ও স্মৃতিময় করতে সাহায্য করবেন।
======================
✪ রুট প্লানঃ
শিববাড়ি মোড় > বাগেরহাট > পিরোজপুর > বেকুটিয়া সেতু > শিয়ালকাঠি চৌরাস্তা > কাউখালি > আমরাজুরী ফেরিঘাট > স্বরূপকাঠীতে রিলাক্স হোলেটে রাত্রি যাপন এবং পরের দিন আটঘর কুড়িয়ান, ভীমরুলী ভাসমান পেয়ারা বাজারে টলারে ঘুরে আমরা দুপুরের আহার করে খুলনার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিব।
======================
শুরুর স্থানঃ শিববাড়ি মোড়, খুলনা
শুরুর সময়ঃ দুপুর ০২:৩০ মিনিট (বৃহস্পতিবার), ১৭ জুলাই ২০২৫
শেষ সময়ঃ রাত ১১.০০ মিনিট (শুক্রবার), ১৮ জুলাই ২০২৫
মোট দূরত্বঃ ২০০ কিলোমিটার প্রায় (আপ-ডাউন)।
======================
✪ যেকোন যোগাযোগেঃ 01712-690122 (কামাল)
======================
✪ যাহা সঙ্গে নিবেনঃ
> হেলমেট (নিরাপত্তার স্বার্থে, বাধ্যতামূলক)
> হ্যান্ড গ্লাভস (হাতের নিরাপত্তার জন্যে)
> পানির বোতল (মাঝপথে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য)
> টাকা (খাওয়া, নদীপারাপার ও জরুরী প্রয়োজনে জন্য)
> পলিথিন (বৃষ্টি হতে টাকা ও মোবাইল রক্ষার্থে)
> ফ্রন্ট ও ব্যাকলাইট (রাতের নিরাপত্তার জন্য)
> সাইকেল টুলস, টিউব ও টিউব মেরামত সামগ্রী
> নিজের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়
======================
✪ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
> প্রত্যেক সাইক্লিষ্টস কে অবশ্যই সেফটির জন্য হেলমেট ও গ্লাভস পরিধান করে আসতে হবে।
> নিজের প্রয়োজনে পানির বোতল সাথে রাখতে হবে অন্যের পানি চাওয়া থেকে বিরত থাকেতে হবে।
> রাতে রাস্তা ভালোভাবে দেখা ও নিরাপত্তার জন্য ফ্রন্ট ও ব্যাকলাইট অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
> রাইড নেতৃত্বদানকারী নেতাকে রাইড শুরু হতে শেষ পর্যন্ত অনুসরন করতে হবে।
> পথ খরচ, নাস্তা ও খাবার এর জন্য কিছু টাকা সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
> টুলস্, পাম্পার, টিউব থাকলে সাথে নিয়ে নিবেন।
> সিঙ্গেলে রাইড দেওযার চেষ্টা করব এবং রাইড চলাকালীন ওভারটেকিং ও ষ্ট্যান্ট করা থেকে বিরত থাকব।
> রাইডের সময় কোন প্রকার রেস করা বা গ্রুপে মেট/সহ রাইডার/সহ সাইক্লিস্টসদের সাথে গতি নিয়ে পাল্লা দেয়া যাবে না।
> ওভার টেক করার সময় অবশ্যই বেল বাজিয়ে বা সামনের রাইডারকে ডাক দিয়ে ওভার টেক করতে হবে।
> কেউ দাড়াতে বললে সবাই রাস্তার পাশে একলাইনে দাড়াবেন একজায়গাতে গিয়ে দাড়াবেন না।
> ব্রেক এ সবসময় হাত রাখতে হবে যেহেতু সিংগেল লাইনে চালাব তাই সামনের জন ব্রেক ধরলে আপনার ও ধরতে হবে।
> আবহাওয়া খারাপ থাকার সম্ভাবনা থাকলে অবশ্যই মোবাইল ও মানিব্যাগ সুরক্ষিত রাখবার জন্য পলিব্যাগ আনতে ভুল করবেন না।
> রাইড চলাকালীন সময়ে কোন সাইক্লিষ্টস সমস্যার সম্মুখীন হলে বা রাইড থেকে চলে যেতে চাইলে রাইড পরিচালনা কারী লিডারেকে জানাতে হবে।
> রাইড নেতৃত্বদানকারি লিডারের যেকোন সীদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং তা সকলকে মেন নিতে হবে। রাইড কে সুশৃঙ্খল করবার জন্য রাইড এর প্রয়োজনীয় নিয়ম কানুন অনুসরন করার জন্য সাইক্লিষ্টসদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
> রাইড চলাকালীন ধুমপান পরিহার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
======================
✪ সতর্কবাণীঃ
এই ইভেন্টে অংশগ্রহণের পূর্বে আপনি নিন্মলিখিত শর্তগুলির সাথে সম্মত হবেন:
আমি এই ইভেন্টের ধরণ বুঝেছি এবং নিয়মাবলী পড়েছি। আমি একমত যে, আমি নিজদায়িত্বে ইভেন্টে অংশগ্রহণ করছি এবং নিজের নিরাপত্তা ও কার্যকর্মের সব দায় দায়িত্ব আমি নিজে নিচ্ছি। যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনার জন্য Khulna Cycling Community-এর এডমিন, মডারেটর বা সদস্যদের দায়ী করব না বা তারা দায়ী নন।
======================
Facebook Group:
https://tinyurl.com/4ksnfsk2
Facebook Page:
https://tinyurl.com/mryzdf8x
======================
SAFE Cycling
HAPPY CYCLING
#Bonding_on_Two_Wheels
#Think_Green
#Save_Nature
#Khulna_Cycling_Community
#KhulnaCyclingCommunity
#Cycling, #Khulna, #Ride, #Cycle, #Travel, #Adventure, #Peddle, #Cyclinglife, #Bike, #MTB, #Bikelife, #Cyclingphotos, #Cyclist, #Bicycle #Mountainbike, #Roadcycling, #Fitness, #Strava, #Sports, #Bikes, #Nature, #Exploring, #KhulnaCyclian, #KCC #KCC_ভাসমান_পেয়ারা_বাজার_রাইড
ধন্যবাদ…
======================
✪ উৎপত্তির কথাঃ
কবে এই জনপদে পেয়ারার চাষ শুরু হয়েছিল তানিয়ে দুটি মিথ প্রচলিত এখানে। শ্রুতি অনুযায়ী তা প্রায় দুই শতাধিক বছর আগের কথা। তীর্থ করতে এখানেরকোন একজন ভারতের বিহার রাজ্যের গয়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে এই ফল দেখে চাষ সম্পর্কে অবগত হয়ে বীজ এনে বপন করেছিলেন আটঘর-কুড়িয়ানাতে। গয়া থেকে আনা বীজবপন করে গাছ এবং গাছ থেকে ফল পাবার পর, এর নাম রাখা হয়েছিল গয়া। সেখান থেকে অপভ্রশং হয়ে স্থানীয়রা এখন এই ফলকে গইয়া নামে ডাকেন। উৎপত্তির অপর কাহিনী সম্পর্কে আটঘর গ্রামের প্রবীণ পেয়ারা চাষী নিখিল মন্ডল জানালেন, আন্দাকুল গ্রামের পূর্ণচন্দ্র মন্ডল কাশীতে তীর্থ করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সর্বপ্রথম তিনিই পেয়ারার বীজ নিয়ে আসেন এই এলাকায়। সেই বীজ থেকে যেসব গাছউৎপন্ন হয়েছে এবং ঐ গাছে উৎপাদিত পেয়ারা এখনো পূণ্যমন্ডলী পেয়ারা নামে পরিচিতি। এইপেয়ারাটির গায়ে কমলালেবুর মত শির আঁকা আছে। খেতে বেশ সুস্বাদু, ভেতরে লালচে ধরণের এবং সুগন্ধিযুক্ত। এই হিসেব অনুযায়ী প্রায় পৌঁনে দুইশ বছরের কাছাকাছি হতে পারে এখানের পেয়ারা চাষের বয়স। পূণ্যচন্দ্র মন্ডলের নাতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নির্মল চন্দ্র মন্ডল (৮০) জানালেন, তার পিতার লাগানো শতাধিক বছরের পুরানো বাগান এখনো বিদ্যমান।
যেভাবে হয় পেয়ারার চাষঃ সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় পেয়ারা চাষ হয়ে থাকে। বীজ থেকে চারা উৎপন্ন করে কান্দি কেটে আট হাত দূরত্বে, একত্রে দুটো করে চারা লাগানোহয়। তিনবছরের মধ্যে গাছে ফল ধরে। এই গাছ একশো থেকে সোয়াশো বছর বেঁচে থাকে এবং মুত্যুর আগ পর্যন্ত ফল দেয়। প্রতি বছর দুই বার করে বাগান নিড়াতে হয়। অগ্রহায়ণ পৌষমাসে মাটির প্রলেপ দিতে হয় সব কান্দিতে। ফাল্গুন মাসের দখিণা বাতাস বহার সাথে সাথে গাছে নতুন পাতা গজাতে থাকে। ফাল্গুন এবং চৈত্র এই দুই মাসে ফুল থেকে ফল বের হয়। পহেলা শ্রাবণ থেকে পূর্ণাঙ্গ ফল পাড়তে শুরু করেন চাষীরা। শ্রাবণ মাসের পুরোটা সময় প্রতিদিনই পেয়ারা সংগ্রহ করতে পারেন। বিশেষ করে পুরানো গাছের ফুল দেরিতে আসে বলে ফলও দেরিতে হয়। তবে পুরানো গাছের পেয়ারা চারা গাছের পেয়ারার চেয়ে বেশী সুস্বাদু হয়।
চাষাবাদের এলাকাঃ বর্তমানে বানারীপাড়া উপজেলার নরেরকাঠি, শৈতকাঠি এবং করিবকাঠিতে ১৩ হেক্টর জমিতে; ঝালকাঠী সদর উপজেলার শতাদশকাঠি, ভিমরুলী, কাপড়কাঠি মিলিয়ে ২৮ হেক্টর জমিতে এবং স্বরূপকাঠি উপজেলায় পেয়ারা চাষ হয় ৭০৩ হেক্টর জমিতে। স্বরূপকাঠি উপজেলার পেয়ারা বাগানকে আবার ৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। কুড়িয়ানাতে ২৮৯ হেক্টর,ধলহার ২৬০ হেক্টর, গণপতিকাঠি ৬১ হেক্টর, মাদ্রায় ৪০ হেক্টর, মুসলিমপাড়ায় ৪২ হেক্টর এবং জলাবাড়িতে ১১ হেক্টর জমিতে পেয়ার চাষ হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
Also check out other Sports events in Barisal, Trips & Adventurous Activities in Barisal.